1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পেন, ইটালি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাল, তবে ঘাম ছুটিয়ে

১৯ জুন ২০১২

স্পেনের খেলোয়াড়রা ফুটবলের রাজপুত্তুর৷ সোমবার ক্রোয়াটদের সঙ্গে গলির ফুটবলে তাদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়৷ অন্যদিকে ইটালীয়রা যে ফুটবল খেলতে জানে, টুর্নামেন্টেই তার আসল আন্দাজ পাওয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/15HZq
ছবি: AP

বলতে কি, ইউরো ২০১২'তে ইটালির দল এ পর্যন্ত ম্যাচ থেকে ম্যাচ চমক দিয়ে চলেছে৷ তাদের খেলায় এ রকম বাঁধুনি ও নমনীয়তা, ক্যাপ্টেন পির্লো'র পরিচালনায় অচঞ্চল ডিফেন্স কিংবা ফরোয়ার্ডে সুযোগসন্ধানী আগ্রাসন, এ সব অনায়াসেই আরো একটি ইউরো খেতাবের অগ্রদূত হতে পারে৷

পোজনান'এ ২-০ গোলে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ইটালি৷ কাসানো'র প্রথম গোলটিতে চমক থাক আর নাই থাক, মারিও বার্লোতেল্লি'র দ্বিতীয় গোলটি ছিল একটি নয়ানাভিরাম ভলি, পড়ে যাওয়ার মুখে, বিপক্ষের ডিফেন্ডার যখন তার জার্সি ধরে টানাটানি করছে৷

কিন্তু বার্লোতেল্লির গোলটিকে যদি সব সত্ত্বেও ‘প্লেয়িং টু দ্য গ্যালারি' বলে ধরে নেওয়া যায়, ইটালির কোচ সেজারে প্রান্দেলি কিন্তু খেলার পর কিছু সহজ এবং অতি সত্য কথা বলেছেন৷ যেমন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম এমন একটি দল গড়তে, যারা ফুটবল খেলতে জানে৷''

প্রান্দেলি'র বক্তব্য: ‘‘যে সব টিম ফুটবল খেলতে জানে, তারা টুর্নামেন্টে বহুদূর এগোতে পারে৷ শুধু ফলাফলের জন্য খেলে ততো দূর এগোনো যায় না৷'' প্রথম দু'টি খেলায় প্রান্দেলি তার ডিফেন্সকে রেখেছিলেন তিনজনের৷ সোমবারের খেলায় সেটা বদলে চারজনের করাটাও তাঁর এবং দলের পক্ষে কম কৃতিত্বের কথা নয়৷

UEFA EURO 2012 Spanien Kroatien Jesus Navas Tor
নাভাস’এর সেই গোলটা...ছবি: AP

টিকিটাকার ইতিকথা

ইটালি গ্রুপ ‘সি' থেকে রানার্স-আপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাচ্ছে৷ কিন্তু গ্রুপ বিজয়ী হয়েছে স্পেন৷ হালের বিশ্ব তথা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নকে কিন্তু ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে৷ বেগটা এই কারণে নয় যে, স্পেনের দক্ষতা কিংবা ক্ষমতার কোনো তারতম্য ঘটেছে৷ সেই শর্ট পাসের ‘টিকিটাকা' খেলা: প্রতিপক্ষকে ছোট ছোট পাসের জালে জড়িয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখে হঠাৎ ছোবল মারা৷

সোমবারও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ খেলার প্রথম পঁচিশ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া ক'বার বল পায়ে পেয়েছে, তা বলা শক্ত৷ কিন্তু স্পেনের এ দিন বিপক্ষের গোলের কাছে পৌঁছতে, বিশ-পঁচিশ-পঞ্চাশটা শর্ট পাসের পর শেষ মোক্ষম পাসটি দিতে, গোলের কাছে গিয়ে ফিনিশিং করতে, সর্বত্রই বেগ পেতে হয়েছে, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে৷ এমনকি যে ডিফেন্সে তাদের ক্কচিৎ-কদাচিৎ কোনো ভুল হয়, সেখানেও যেন তাদের অমনোযোগী হতে দেখা গেছে৷ এ কথা বলেছেন স্পেনের স্বল্পভাষী কোচ ভিন্সেন্তে দেল বস্কে স্বয়ং৷

বলতে কি, স্পেনের গোলে তাদের ‘সন্ত ইকার' অর্থাৎ ইকার কাসিয়াস না থাকলে, স্পেনের যাত্রা হয়তো এবার ডানজিগেই শেষ হতে পারতো৷ যেমন, এক ঘণ্টা খেলার মাথায় ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ'এর ক্লোজ রেঞ্জে করা হেডটা ধরার মতো ক্ষিপ্রতা এবং ক্ষমতা শুধু কাসিয়াসের মতো ক্ষণজন্মা গোলকি'দেরই থাকে৷ সেকথা মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেছেন ক্রোয়াটদের কোচ স্লাভেন বিলিচ নিজেই৷

UEFA EURO 2012 Irland Italien Fans
ফ্যানেদের উল্লাস...ছবি: Reuters

অবশ্য সন্ত ইকারও জানেন, খেলা গড়তে হলে, পরিচালনা করতে হলে, চূড়ান্ত পাসটি দিতে হলে মিডফিল্ডে সাভি এবং ইনিয়েস্তা নামধারী আর দুই সন্তের থাকাটা প্রয়োজন৷ যেমন, ৮৮ মিনিটের মাথায় কাঁধে করে বল রিসিভ করে জিসাস নাভাস'এর দিকে বলটা ঠেলে দিলেন ইনিয়েস্তা, গোল করার জন্য৷ বলা চলে, স্পেনের খেলার অর্ধেকটা চলে ইনিয়েস্তার মাথায়, ফিনিশিংটা হয় মাঠে৷

তা সত্ত্বেও ক্রোয়েশিয়ার কোচ বিলিচ বলেছেন, তিনি স্পেনকে ইউরো খেতাব জেতার বিরাট ফেবারিট বলে মনে করেন না৷ অন্য কয়েকটি দলের আরো বেশি পেস অর্থাৎ গতি আছে বলে তিনি মনে করেন, যেমন অন্য কয়েকটি দল মাঠে নামলে আরো আগ্রাসী হয়৷ এবং স্পেনের যে ফিনিশিং অর্থাৎ গোল করা নিয়ে একটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে, সেটাও সকলের কাছেই স্পষ্ট: সামনে একা ফের্নান্দো টরেস বিশেষ কার্যকরি হতে পারছে না৷ বিকল্প বলতে ফাব্রেগাস, কিন্তু তাঁর সাথেও সিলভা কিংবা নাভাস'এর মতো কারোকে রাখা দরকার৷ কোচ দেল বস্কে সম্ভবত এই ব্যাপারটা নিয়েই বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন৷

এএসসি / ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য