স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির আড়িপাতা কথোপকথনের টেপ নিয়ে বিতর্ক
২ ডিসেম্বর ২০১০পাশাপাশি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যুক্তিতে এই কথোপকথনের টেপ মিডিয়ায় প্রকাশ বন্ধ করতে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানান বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন টাটা৷
টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি তদন্তে এক এক করে উঠে আসছে এর নানান শাখা প্রশাখা৷ সুপ্রিম কোর্ট কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার স্পেকট্রাম বন্টন সংক্রান্ত টেপ জমা দিতে বলায় সরকার আজ সেইসব টেপ সীল করে আদালতে জমা দেন৷কথোপকথনের এই সব টেপ জমা দেবার আর্জি জানায় সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন সংক্ষেপে সিপিআইএল নামে এক বেসরকারি সংগঠন৷অভিযোগ, স্পেকট্রাম বন্টনে সরকারকে প্রভাবিত করতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি৷ এদের মধ্যে ছিলেন শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক৷ তাঁদের সঙ্গে নীরার টেলিফোনে যে-সব কথা হয়, আয়কর বিভাগ তাতে আড়ি পাতে এবং তা রেকর্ড করে রাখে৷ কিন্তু সেই কথোপকথনের টেপ ফাঁস হয়ে যায় মিডিয়াতে৷
নীরার সঙ্গে কথোপথনের টেপে বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন টাটাও ছিলেন৷কথোপকথনের অনুলিপি মিডিয়ায় প্রকাশ বন্ধ করতে তিনি পৃথক আর্জি জানান সুপ্রিম কোর্টে৷ তাঁর যুক্তি, এতে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে৷ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা তাঁর সাংবিধানিক অধিকার৷ ভারতের আউটলুক ও ওপেন নামে দুটি পত্রিকায় ঐ কথোপকথনের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়৷ এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ঐ দুটি পত্রিকা এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে নোটিশ জারি করে দশ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন৷
টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন কেলেঙ্কারিতে রাডিয়া কতটা জড়িত তা নিয়ে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ রাডিয়াকে জেরা করেন৷ এনফোর্সমেন্ট বিভাগের দাবি, আড়ি পাতা টেপে নাকি সেইরকম সূত্র তারা পেয়েছে৷ কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো এক হলফনামায় শীর্ষ আদালতকে বলেছে, এই কেলেঙ্কারিতে নীরা রাডিয়ার ভূমিকা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে প্রচুর অনিয়ম নাকি চোখে পড়েছে যা কিনা দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে৷
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর পরামর্শে সাবেক টেলিকমমন্ত্রী এ.রাজা কান না দেয়ায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অস্বাভাবিক আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷প্রধানমন্ত্রী রাজাকে তাড়াহুড়ো না করতে বলেছিলেন৷ কিন্তু তিনি তা না শুনে স্পেকট্রাম বন্টন শুরু করে দেন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক