স্টাইলিশ পতৌদি চলে গেলেন মাত্র সত্তরেই
২২ সেপ্টেম্বর ২০১১একটি চোখ খুইয়েছিলেন পতৌদি খুব অল্প বয়সে৷ তারপরেও ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট কেন, গোটা উপমহাদেশে তিনি পরিচিত ছিলেন একজন ক্যারিশমাটিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই৷ পতৌদির নবাব ছিলেন তিনি পারিবারিক সূত্রে৷ রূপ, গরিমা, প্রতিভা বা ব্যক্তিত্ব, অভাব ছিল না কোনটারই৷ স্ত্রী শর্মিলা ঠাকুর, বাংলা হিন্দি ছবির জগতের এক শ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী৷ এক পুত্র আর দুই কন্যা রেখে গেলেন৷ পুত্র সাইফ আলি খান আর সোহা আলি খান, দু'জনেই প্রতিষ্ঠিত অভিনয়ের জগতে৷ পতৌদি ছিলেন এক সম্মানিত, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব৷
বয়স যে খুব বেশি হয়েছিল, তা নয়৷ মাত্র ৭০ বছর৷ ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে এমাসের গোড়ায় ভর্তি হয়েছিলেন নতুন দিল্লির একটি হাসপাতালে৷ প্রাথমিকভাবে চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছিলেন৷ সেরেও উঠছিলেন দ্রুত৷ কিন্তু সংক্রমণের শেষ ধাপে অবস্থার অবনতি ঘটে৷ হাসপাতালের মুখপাত্র জানান, বুধবার রাত থেকে পতৌদির অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে৷ তাঁর চিকিৎসায় কোনরকম ত্রুটি হয়নি বলে দাবি করা হয় হাসপাতাল সূত্র থেকে৷
ভারতের সেই টেস্ট জমানার খেলোয়াড় ছিলেন পতৌদি৷ ১৯৬১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে মোট ৪৬ টি টেস্ট খেলেছেন তিনি৷ মোট রানের সংগ্রহ ছিল ২৭৯৩৷ টেস্ট সেঞ্চুরির সংখ্যা ছয়টি৷ ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ডান চোখটি হারান পতৌদি৷ অকুতোভয় এই ব্যাটসম্যান তারপরেও থামেন নি৷ তাঁর স্টাইলই ছিল তাঁর সম্পর্কে শেষ কথা৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক