1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরভের সঙ্গে সংঘাতে কোহলি, বিপাকে বোর্ড

১৬ ডিসেম্বর ২০২১

মুখ খুললেন বিরাট কোহলি। জানালেন, কেউ তাকে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক থাকতে বলেননি। তার সোজাসাপটা মন্তব্যে বিপাকে বিসিসিআই।

https://p.dw.com/p/44LC1
বোর্ডের কেউ তাকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে মানা করেননি বলে জানালেন কোহলি। ছবি: Aijaz Rahi/AP Photo/picture alliance

কিছুদিন আগে বিসিসিআই-প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তিনি বিরাট কোহলিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু বিরাট শোনেননি। সাদা বলের ক্রিকেট ফরম্যাটে একজন অধিনায়কই থাকা উচিত। তাই কোহলিকে সরিয়ে রোহিতকে অধিনায়ক করা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি জানিয়ে দেন, তিনি নিজে থেকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা বোর্ডকে আগে জানিয়েছিলেন। কোহলির দাবি, তখন সকলেই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে ঠিক কাজ করেছেন। কেউই তাকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করেননি। অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ডের তরফে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়।

কোহলির এই দাবির পর গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, কে ঠিক বলছেন, সৌরভ না কোহলি?

এখানেই থামেননি কোহলি। তিনি রাখঢাক না করে জানিয়েছেন, তাকে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল। গত ৮ ডিসেম্বর দল নির্বাচন নিয়ে বৈঠকের সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান প্রথমে দলগঠন নিয়ে আলোচনা করেন। ফোন রাখার আগে তিনি বলেন, পাঁচ নির্বাচক একমত হয়েছেন, একদিনের ক্রিকেটে তাকে আর অধিনায়ক রাখা হবে না। কোহলি জানিয়ে দেন, ঠিক আছে। 

এরপরই কোহলিকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক ঘোষণা করে বোর্ড। যে পাঁচ নির্বাচক এই সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছেন, তারা হলেন চেতন শর্মা, অ্যাবে কুরুভিল্লা, দেবাশিস মোহান্তি, হরবিন্দর সিং এবং সুনীল জোশি। 

রোহিত শর্মা প্রসঙ্গে

কোহলি জানিয়েছেন, রোহিত শর্মা খুবই ভালো এবং যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা। দেশের হয়ে রোহিত যখনই নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখনই তা বোঝা গেছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ম্যান ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো। দুজনকেই তিনি একশ শতাংশ সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

রোহিতের সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচুর লেখালিখি হয়েছে। সাংবাদিক সম্মলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় বিরাটকে। তার জবাব, ''আমার পুরনো ভূমিকার কোনো পরিবর্তন হবে না। আমি এই কথাটা বলতে বলতে ক্লান্ত যে, আমি যতদিন খেলব, ততদিন দলবিরোধী কাজ করার কথা ভাবতেই পারব না। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার পূর্ণ দায়বদ্ধতা আছে।''

গাভাস্কারের মত

সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, গত সেপ্টেম্বরে কোহলি যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তার ফলেই তাকে একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব হারাতে হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে-কে গাভাস্কার বলেছেন, সেপ্টেম্বরে কোহলি বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি আর অধিনায়ক থাকবেন না। তবে টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের ক্রিকেটে তিনি অধিনায়ক থাকবেন। এই কথায় সম্ভবত বোর্ড কর্তারা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

গাভাস্কারের মতে, কথাটা একটু অন্যভাবে বলা যেত। কোহলি বলতে পারতেন, টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো অসুবিধা নেই। বিবৃতিটা একটু অন্যভাবে লিখলে সমস্যা হতো না। তার মতে, কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে অখুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, তিনি দেশে ও বিদেশে জিতেছেন। অধিনায়ক হিসাবে তিনি যথেষ্ট দক্ষ।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)