ছিটকে গেছে মহাকাশ যান
১৯ আগস্ট ২০১৩ভয়েজার মহাকাশযানটি কখন সৌরজগতের চৌম্বক ক্ষেত্রের ঠিক ভিন্ন দিক দিয়ে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র নির্ধারণ করে তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু দেখতে পেলেন এর ভিন্ন চিত্র৷
বৃহস্পতিবার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ মার্ক সুইসড্যাক রয়টার্সকে জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন, সৌরজগত এবং তারকামণ্ডলের চৌম্বকক্ষেত্র প্রায় একই রকম৷ তাই কোনো মহাকাশযানের ক্ষেত্র পরিবর্তন হওয়ার সময় তার নিজের কোনো পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়৷
কিন্তু গত বছর গ্রীষ্মে হঠাৎ করেই সূর্য থেকে বেশি কিছু কণা এবং তারকামণ্ডল থেকে মহাজাগতিক রশ্মি নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল৷ অর্থাৎ সে সময় ভয়েজার তারকামণ্ডল অতিক্রম করছিল৷
তবে, মার্কের এ মতের সাথে অনেকের অমিলও রয়েছে৷
নাসার সাবেক কর্মকর্তা এবং ভয়েজার প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড স্টোন বলছেন, সুইসড্যাকের গবেষণাটা অদ্ভূত৷ কেননা ভয়েজারের তথ্যের বিষয়ে বিভিন্ন কম্পিউটার নানা তথ্য দিতে পারে৷
স্টোনের মত অনেক বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, ভয়েজার তার আগের অজানা অবস্থানেই আছে, সেটা কোন ম্যাগনেটিক হাইওয়ে হতে পারে, যা হেলিওস্ফেয়ার এবং তারকামণ্ডলের মধ্যকার কোনো স্থান৷
সৌরজগতের গ্রহগুলোর চারপাশের অবস্থান জানার জন্য ১৯৭৭ সালে ভয়েজার ১ ও এর সহযোগী যান ভয়েজার ২ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল৷ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি থেকে ভয়েজার ১ যে শক্তি সংগ্রহ করে, তা শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে৷ আর ২০২৫ সালের মধ্যে এটির শক্তি পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা৷ তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভয়েজার ২ যদি সৌরজগতের বাইরে চলে যায়, তখন আরো নির্ভুল তথ্য পাওয়া যেতে পারে৷ ভয়েজার ১ এখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার দূরত্বের ১২০ গুন দূরে অবস্থান করছে৷
এপিবি / এসবি (রয়টার্স)