1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসৌদি আরব

সৌদিতে আবার হুতি বিদ্রোহীদের হামলা

২১ মার্চ ২০২২

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আবার সৌদি আরবে হামলা চালালো। রোববার এই হামলা হয় বলে সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে।

https://p.dw.com/p/48lwU
দক্ষিণ সৌদি আরবে মাঝেমধ্যেই আক্রমণ করছে হুতি বিদ্রোহীরা। ছবি: Stanislav Krasilnikov/dpa/TASS/picture alliance

ইয়েমেনে এখন সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। গত সপ্তাহেই আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে হুতি। 

সৌদির সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, অন্তত চারটি জায়গা লক্ষ্য করে হুতি বিদ্রোহীরা আক্রমণ চালায়। তবে কেউ মারা যাননি। কয়েকটি গাড়ি ও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিছুদিন আগেও সৌদিতে ক্ষেপণাস্ত্র-হামলা করেছিল হুতি। তাদের লক্ষ্য ছিল সৌদির তেল ও গ্যাসের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ও পরিকাঠামো। রোববারও তারা একই উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করেছিল বলে অভিযোগ।

সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ সৌদি আরবে জিযানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল কোম্পানির পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ করে হুতি। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, আল শাকিকে একটি ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট এবং অন্য দুইটি শহরে  বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গ্যাস ফেসিলিটিও তারা আক্রমণ করে।

সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনী তা নেভানোর চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল আইন পরে জানিয়েছে, দক্ষিণ সৌদির কাছের এলাকা থেকে পাঠানো নয়টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলিরও লক্ষ্য ছিল সৌদির তেল পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ। সরকারি টিভি জানিয়েছে, বন্দর শহর ইয়ানবুতে এলএনজি কারখানার উপরও আক্রমণের চেষ্টা হয়েছিল।

হুতির তরফ থেকে এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। তারা এটাকে সৌদির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর উপর সামরিক হামলা বলে অভিহিত করেছে। গত ১০ মার্চ রিয়াধে তেল শোধনাগারের উপর ড্রোন হামলা হয়। হুতি তারও দায় স্বীকার করেছিল।

আলোচনার প্রস্তাব

ছয় দেশের গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল(জিসিসি) হুতি বিদ্রোহীদের ইয়েমেন গিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা বলেছে, রিয়াধে আগামী ২৯ মার্চ এই আলোচনা হবে। কিন্তু হুতির তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, নিরপেক্ষ কোনো জায়গায় আলোচনা হলে, তারা সেখানে যেতে রাজি আছে।

তাদের দাবি, ইয়েমেনের বন্দর ও সানা বিমানবন্দরের উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

২০১৪ থেকে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ চলছে। সেই বছর হুতি রাজধানী সানা সহ ইয়েমেনের উত্তরের অংশ দখল করে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত সরকার দক্ষিণ ইয়েমেনে চলে যেতে বাধ্য হয়। ২০১৫ সাল থেকে সৌদির নেতৃত্বাধীন জোট হুতির সঙ্গে লড়াই করছে। তারপর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে সৌদিতে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর উপর আক্রমণ চালায় হুতি।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)