শতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি বন্ধ করেছে সরকার
৪ ডিসেম্বর ২০১৯সরকারের মুখপাত্র মনিরুস সালেহীন বুধবার এএফপিকে বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ এজেন্সিগুলো বন্ধ করা হয়েছে৷ তাঁদের কেউ কেউ অভিযোগ করার পরও শ্রমিকদের নিয়োগকর্তার কাছে ফেরত যেতে বাধ্য করেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এ ব্যবস্থা গ্রহণ চলবে৷’’
সম্প্রতি সৌদি আরবে, বিশেষ করে গৃহকর্মে নিযুক্ত নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের নানা অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷
বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে দেশটির নারীরা সৌদি আরবসহ বিশ্বের নানা দেশে শ্রমিক হিসেবে যাওয়া শুরু করেন৷ কিন্তু নারী শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে কোনো দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি না থাকায় বাংলাদেশে পুরো প্রক্রিয়াটি দালালদের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷
২০১৫ সালে বাংলাদেশ চুক্তির ভিত্তিতে সৌদি আরবে গৃহকর্মের জন্য নারী শ্রমিক পাঠানো শুরু করে৷ গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই লাখ নারী গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব গেছেন৷ বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতেই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নারী শ্রমিক কাজ করছেন৷
কিন্তু গত কয়েক মাসে ওই শ্রমিকদের বড় একটি অংশ দেশে চলে আসেন এবং নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনসহ নানা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে৷ সেখানে দু-একজনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্নও দেখা যায়৷
গৃহকর্মী নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গহণের জন্য রিয়াদে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে৷ বৈঠকে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি অনলাইন ডেটাবেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত তথ্য প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শ্রমকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা৷
সৌদি পুলিশও নির্যাতনথেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়া নারীদের নিয়োগকর্তার হাতে তুলে না দিতে রাজি হয়েছেন বলেও জানান তারা৷
এছাড়া সৌদি নিরাপত্তা ও সহযোগিতা অধিদপ্তর ‘বিপদে পড়া নারী শ্রমিকদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস দিয়েছে’ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের শ্রমকল্যাণ মন্ত্রণালয়৷
এসএসএল/এসিবি (এএফপি)