1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গা!

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সৌদি আরবের দাবি, ওই দেশে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গা আছেন৷ তারা ওই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন,সৌদি আরবের এধরনের তৎপরতার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না৷

https://p.dw.com/p/3XYUy
ফাইল ছবিছবি: Imago Images/Zuma/M. Hasan

সংবাদমাধ্যমে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ওই ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়৷ ১৩ জানুয়ারি আবুধাবিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনেও সৌদি কতৃর্পক্ষ বিষয়টি তোলে৷ ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ কমিশনের বৈঠক আছে ঢাকায়৷ সেই বৈঠকেও সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি তুলতে পারে৷ পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি কিভাবে মোকাবেলা করবে তা নিয়ে কাজ করছে বলে জানা গেছে৷
সৌদি আরব জনিয়েছে, এই রোহিঙ্গারা ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সৌদি আরবে গেছেন৷ তারা বাংলাদেশি পাসপোর্টে গিয়ে সেখানে কাজও করেছেন৷ তাদের সবার কাজের অনুমতিপত্র আগেই শেষ হয়ে গেছে৷ ২০১৬ সালেও সৌদি আরব একবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলেছিলো৷

বাংলাদেশের নাগরিক না হলে কারো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার কথা নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেছেন,‘‘বাংলাদেশের নাগরিক না হলে কারো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার কথা নয়৷ যাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট আছে তারা বাংলাদেশি নাগরিক৷ সৌদি আরব এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গাকে সেখান থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়নি৷ আর তারা ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায় বলে কোনো চিঠি দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই৷ সংবাদমাধ্যমে অনেক সময় অতিরঞ্জিত খবর ছাপা হয়৷’’
এই চিঠি যখন দেয়া হয় তখন পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন শহীদুল হক৷ তিনি বলেন, ‘‘এবিষয়ে সর্বশেষ কি হয়েছে তা আমি এখন আর বলতে পারবনা৷ কারণ আমিতো আর এখন পররাষ্ট্র সচিব নই৷’’

১৯৭৮ সালে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিয়েছিল: শহীদুল হক

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক বলেন, ‘‘আমি হজে গিয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গা দেখেছি৷ ১৯৭৮ সালে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান আড়াই লাখ করে মোট পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিয়েছিল৷ সৌদি আরব যদি তাদের নিয়ে কথা বলে তাহলে তারা সেটা ঠিক করছে না৷ তবে এর পরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়ে থাকলে তা তারা বৈধ পথে পায়নি৷ এটা একটি জটিল পরিস্থিতি৷ বাংলাদেশের এখন ভেরিফাই করে দেখতে হবে তারা কিভাবে পাসপোর্ট পেল৷ এর জন্য সৌদি সরকারেরও সহায়তা চাওয়া যায়৷ আরেকটি বিষয় হলো তারা যেভাবেই পাসপোর্ট পাক তারাতো আর বাংলাদেশের নাগরিক নয়৷ তাই সৌদি আরবের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে তাদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে সেখানেই রাখার ব্যবস্থা করা দরকার৷’’
বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জেদ্দায় অবস্থান করছেন৷ তার সাথে কথা বলা যায়নি৷ সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহকেও ফোনে পাওয়া যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য