সোহেল তাজের পদত্যাগ
৮ জুলাই ২০১২আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ'এর দীর্ঘদিন ধরে চলা পদত্যাগ নাটকের অবশেষে অবসান ঘটেছে৷ শনিবার রাতে পদত্যাগপত্রটি তিনি নিজেই স্পিকার আবদুল হামিদের কাছে জমা দিয়েছেন৷ গত এপ্রিলে স্পিকার বরাবর ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে পাঠানো পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় এবার স্পিকারের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে তা জমা দিলেন তিনি৷ এর পরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যান৷ প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলেন নি৷
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোহেল তাজের পদত্যাগ সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘একজন সদস্য পদত্যাগ করলে তেমন কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হবে না৷ তার পদত্যাগে দলে কিংবা সংসদে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না৷'' রবিবার সকালে জাতীয় জাদুঘরে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন৷
সোহেল তাজের পদত্যাগকে দলীয় সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘দলের অনুমতি নিয়েই তিনি পদত্যাগ করেছেন৷ তার পদত্যাগের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন৷ পদত্যাগের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছেন৷''
একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অপর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘‘সোহেল তাজ মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন মানেই তিনি দল ত্যাগ করেছেন বিষয়টি এমন নয়৷ তিনি দলের সঙ্গে আছেন বলেই দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন৷''
এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ‘‘মনে হয় না ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে৷ কারণ তিনি অনেক আগে থেকেই পদত্যাগের চেষ্টা করছেন৷''
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ৷ কিন্তু ৫ মাসের মাথায় তিনি মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন৷ প্রধানমন্ত্রী তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাকে দফতরবিহিন মন্ত্রী হিসেবে বহাল রেখেছিলেন৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম