সৈন্য নয়, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবক
৯ ডিসেম্বর ২০১০এখন সেনাবাহিনীতে যোগ না দিলে সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে হবে৷ করতেই হবে৷
দুই জার্মানি তেসরা অক্টোবর পুনরায় একত্রিত হওয়ার পর কুড়ি বছর পার হয়ে গেছে৷ গত কুড়ি বছরে কোনো-কোনো রাজনৈতিক দল দাবি তুলেছে কালেভদ্রে - তাও আবার সমস্বরে জোরালো কন্ঠে নয় -সামরিকবাহিনীতে কেন তরুণদের সামরিক-প্রশিক্ষণ জরুরি, তিন বছরের জন্যে? তিন বছরের প্রশিক্ষণ-শেষে কি শিক্ষাপ্রাপ্তরা সেনাবাহিনীতে যুক্ত?
পরিসংখ্যানে বলছে, না৷ অর্ধেকের অর্ধেকও কম৷ এই-কমতির ভয়াবহ চিত্রে জার্মান সরকার ঠিক করেছেন, তরুণদের সামাজিক-উন্নয়ন কাজে যুক্ত করবেন৷ যথা, হাসপাতালের নার্সিং-এ৷ বাস-এ, মেট্রোরেলে টিকিট-চেক করার কাজে, পাবলি অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দেখভাল, এরকম নানা কাজে৷ এটা হবে ভলান্টিয়ারি কমিউনিটি সার্ভিস৷ এর জন্যে চাকরিপ্রাপ্তরা মাসে ৫৫০ ইউরো পাবে৷ সঙ্গে আরো কিছু আনুষঙ্গিক৷
জার্মানিতে প্রতিবছর ৯০ হাজার তরুণ-তরুণী অংশ নেন সেনাবাহিনীতে৷ এটা বাধ্যতামূলক৷ আগামী বছরের গ্রীষ্মকালীন সময় থেকে নিয়মের রদবদল৷ সেনাবাহানীতে যোগ না দিলে ভলান্টারি কমিউনিটি সার্ভিস করতে হবে৷ কেউ বলছেন, এরকম বাধ্যতামূলক কাজে সুবিধা আছে বেকার যুবকদের জন্যে, কিন্তু বড়োরকম সমস্যাও আছে চালচিত্রের ঘরানায়৷ এই ঘরানা আর্থিক ও সামাজিক৷
কেবল তরুণরাই নয়, যে-কোনো বয়সের কর্মক্ষম নারী-পুরষ এই কাজে অংশ নিতে পারবে৷ সামাজিক উন্নয়নের জন্যে সরকার বাৎসরিক ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ধার্য করেছেন৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক