সুস্বাদু কিন্তু ক্ষতিকর পাঁচটি খাবার
কিছু খাবার খেতে খুব ভালো৷ একটু খেয়ে থামতে ইচ্ছে করে না৷ ফলে আমরা সেগুলো বেশি বেশি খাই এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করি৷ জেনে নিন এমন পাঁচটি খাবারের কথা৷
সাদা রুটি
সাদা রুটি তৈরি হয় গমের ভেতরের অংশ দিয়ে৷ এমন আটা বেশি আঁশযুক্ত নয়, ফলে এই আটার রুটি খেলে একটু পরেই আবার খিদে পায়, ইনসুলিনের মাত্রাও বেড়ে যায়৷ গবেষকরা বলছেন, সাদা আটার রুটি মস্তিষ্কে খাওয়ার স্পৃহাও জাগিয়ে তোলে৷ ফলে একটু পরেই আমরা আবার অন্য কিছু খেতে চাই৷ আর বেশি খেলে যে অনেক রকম ক্ষতির শঙ্কা থাকে তা তো সবাই জানেন!
সিরিয়েল
বাজারে কর্নফ্লেকসের মতো যে সব সিরিয়েল পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই অল্প আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান দিয়ে তৈরি৷ এমন খাবার খেলে রক্তে চিনির মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়৷ তারপর দ্রুত কমেও যায়৷ তাই সকালের নাশতায় সিরিয়েল না খাওয়াই ভালো৷
সুশি
খাবার হিসেবে মাছের কোনো তুলনা হয় না৷ কিন্তু এই মাছই যখন সাদা রংয়ের মিষ্টি সুশি ভাতের সঙ্গে খাবেন তখনই বিপদ৷ সুশি অল্প খেলে পেট যেন ভরতেই চায় না৷ একটু খেলে কিছুক্ষণ পরই মনে হয় অন্য কিছু খাই৷ সাদা চালের পাস্তা খেলেও এমন হয়৷ তাই সুশি বা পাস্তা যদি খেতেই হয়, বাদামি চালেরটা খান৷ তখন আর মুটিয়ে যাওয়া বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি বাড়বে না৷
নোনতা এবং মিষ্টি
মিষ্টি খাবারের মস্তিষ্কের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে৷ মিষ্টি স্বাদের অনুভূতিটা খুব তাড়াতাড়ি মস্তিষ্কে পৌঁছায়৷ তাই লক্ষ্য করবেন, নোনতা স্ন্যাকস খেলে অনেক সময় খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে৷ চিপস খেলেও মনে হয় পেট ভরে গেছে৷ কিন্তু একটু পরই আবার কিছু-না-কিছু, অনেক সময় বিশেষ করে মিষ্টি খেতে খুব ইচ্ছে করে৷
পিৎসা
আপনি কি কখনো একটু টুকরো পিৎসা খেয়ে থামতে পারেন? থামা খুব কঠিন৷ পিৎসাও সাধারণত সাদা আটা দিয়েই তৈরি হয়৷ সঙ্গে আরো থাকে তেল, চিজ এবং নানা ধরণের ‘প্রিজারভেটিভস’, যেসব রক্তের চিনির মাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আনে৷ মস্তিষ্কে তৃপ্তির অনুভূতির জন্ম দেয় এমন হরমোনও তৈরি করে এ ধরণের খাবার৷ ফলে মানুষ বেশি বেশি খায় এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে৷