1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুস্থ আছেন মুসা, ফিরেছেন বেসক্যাম্পে

২৪ মে ২০১০

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট সামিট জয়ের দাবিদার মুসা ইব্রাহীম সুস্থ আছেন৷ সোমবার বিকেলের দিকে তিনি এভারেস্টের চূড়া ছেড়ে অগ্রবর্তী বেসক্যাম্পে ফিরে এসেছেন৷

https://p.dw.com/p/NVpp
মুসা ইব্রাহীম (ফাইল ফটো)ছবি: NACB

ডয়চে ভেলেকে এই তথ্য জানান মুসা-র এভারেস্ট আরোহণের সহযোগী এবং এই মুহূর্তে একমাত্র মুখপাত্র হিমালয়ান গাইডস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঈশ্বরী পাড়ওয়াল৷

ঈশ্বরী জানান, মুসা বেশ শক্তিশালী এবং তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন৷

তিনি বলেন, মঙ্গলবার নেপালী সময় তিনটা থেকে চারটার মধ্যে মুসা আরো নিচে মানে মূল বেসক্যাম্পে ফিরে আসবেন এবং সেখানেই তাঁকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বা সনদ দেবে তিব্বতিয়ান মাউন্টিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন৷

অবশ্য মুসা ইব্রাহীম আসলেই এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ ব্লগ, ই-মেইল এবং ফেসবুকে – অল্প পরিসরে এই নিয়ে আলোচনাও দেখা যাচ্ছে৷ বিষয়টি নিয়ে মুসার ক্লাব, ‘নর্থ আলপাইন ক্লাব, বাংলাদেশ' এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুল হাসান জায়েদী বলেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ এই ‘পা টানার মানসিকতা' প্রকাশ করছে৷''

এদিকে, মুসার এভারেস্ট জয়ের খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এক অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে গোটা বিশ্বে মুসা ইব্রাহীম বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন৷ তার এ বিজয়ে আমি সহ গোটা দেশবাসী গর্বিত এবং আনন্দে উদ্বেলিত৷''

মুসার এমন বিজয় কি সত্যিই প্রত্যাশিত ছিল? এই প্রশ্নটিই করা হয় মুসা ইব্রাহীমের সহধর্মিণী উম্মে সরাবন তহুরাকে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘তাঁর প্রতিজ্ঞা, তাঁর ধৈর্য, তাঁর অধ্যবসায় আমি দেখেছি৷ এবং এত প্রতিজ্ঞা, এত ধৈর্য, এত অধ্যবসায়ের পরও যদি কেউ কোন কাজে সফল না হয় -- তাহলে এই শব্দগুলোর উপরে মানুষের বিশ্বাস থাকবে না বলেই আমার মনে হয়েছে৷''

প্রসঙ্গত, ৩০ বছর বয়সী মুসা ইব্রাহীম পেশায় সাংবাদিক৷ গত কয়েকবছর ধরেই পাহাড় জয়ের নেশা চেপে ধরে তাঁকে৷ এ সংক্রান্ত সংগঠন ‘নর্থ আলপাইন ক্লাব, বাংলাদেশ' এর সাধারণ সম্পাদক তিনি৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন