এ আর রহমান
৯ জানুয়ারি ২০১৩বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনে ‘বিশ্বের সবচাইতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব'-র তালিকায় এ আর রহমানের নাম যুক্ত হয়েছে৷ ইংল্যান্ডের ওয়ার্ল্ড মিউজিক ম্যাগাজিন ‘সংলাইনস' তাঁকে অভিহিত করেছে আগামী কালের বিশ্ব সংগীতের ‘আইকন' হিসেবে৷ চলচ্চিত্র ও মঞ্চে তাঁর সৃষ্ট বিস্তৃত সংগীত কর্মের জন্য তাঁকে ডাকা হয় ‘মাদ্রাজের মোৎসার্ট' নামে৷
২০০৯ সালে সাড়া জাগানো ছায়াছবি ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার'-এর আবহসংগীতের জন্য গোল্ডেন গ্লোব, দুটি অস্কার ও দুটি গ্র্যামি পুরস্কার জয় করেন রহমান৷ এ অবধি ভারতীয় তথা এশিয়ার আর কোনো সংগীত শিল্পী তা অর্জন করেতে পারেননি৷
এ আর রহমানের জন্ম ১৯৬৬ সালে ভারতের মাদ্রাজে, এক তামিল সংগীত পরিবারে৷ নাম ছিল এ এস দিলিপ কুমার৷ পরবর্তিকালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি আল্লা রাখা রহমান নাম নেন৷ বাবা ছিলেন তামিল ও মালায়ালাম চলচ্চিত্র জগতের সংগীতকার ও নির্দেশক৷ খুব ছোটবেলা থেকেই বাবার সংগীত রেকর্ডিং-এ কিবোর্ড বাদক হিসেবে সহায়তা করেছেন তিনি৷
কিন্তু মাত্র ন'বছর বয়সে বাবাকে হারান রহমান৷ এরপর ১১ বছর বয়স থেকে মালায়ালাম চলচ্চিত্র অর্কেস্ট্রায় বাদক হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন এবং অচিরেই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে৷ লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজ অফ মিউজিকে পাশ্চাত্যের ধ্রুপদী সংগীতের উপর বৃত্তি লাভ করেন তিনি৷ ১৯৯২ সালে মণি রত্নমের তামিল ছবি ‘রোজা'-র আবহসংগীতের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র সংগীত জগতে তাঁর সফল আত্মপ্রকাশ৷ ব্রিটিশ গীতিকার ডন ব্লেক-এর সাথে রচিত তাঁর মিউজিকাল ‘বোম্বে ড্রিমস' ভারত সহ ইংল্যান্ড ও অ্যামেরিকায় পায় বিপুল সমাদর৷
অসংখ্য চলচ্চিত্র, একাধিক মিউজিকাল ও একক সংগীত শিল্পী হিসেবে দু'দশকের সংগীত জীবনে রহমান পেয়েছেন আকাশচুম্বী সাফল্য৷ তিনি একাধারে একাধিক বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শি, গীতিকার, সুরকার, নির্দেশক, সংগীত প্রজোযক, গায়ক ও সমাজসেবী৷ অবহেলিত ও নিরক্ষর শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এ আর রহমান ফাউডেশন৷
২০১০ সালে ‘পদ্ম ভূষণ'-এ সম্মনিত হওয়া ছাড়াও আরো অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সংগীতকার এ আর রহমান৷