সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের মারধর করলো পুলিশ
১৫ মার্চ ২০২৩এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আক্তারকে তাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
আহত অন্যরা হলেন, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাস, জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফজলুল হক, আজকের পত্রিকার নূর মোহাম্মদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জান্নাতুল ফেরদৌস, বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন ইব্রাহিম হোসেন, এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন হুমায়ুন কবির, মানবজমিনের আব্দুল্লাহ আল মারুফ৷
পুলিশের হামলার শিকার সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘দুপুর পৌনে বারোটার দিকে হট্টগোলের শব্দ শুনে ভোট কেন্দ্রে যায়৷ সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন৷ এক পর্যায়ে পুলিশ আইনজীবীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করেন৷ সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশ আমাকে লাথি মারে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০ টা থেকে ভোট গ্রহণের কথা ছিল৷ কিন্তু সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভোটকেন্দ্রে ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ ঢুকেন৷ তখন সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়৷’’
আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘পুলিশ আমাকে ঘিরে ধরে পিটিয়েছে৷ এতে আমার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে৷’’ তিনি বলেন, পুলিশ বিভিন্ন সাংবাদিকদের মুঠোফোন ও ক্যামেরা কেড়ে নেন৷
প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাশ বলেন, হট্টগোলের ছবি তোলার সময় পুলিশ আমার পরিচয়পত্র দেখতে চান৷ পরিচয়পত্র দেখানোর পর সেটি ছবি তুলে রাখেন পুলিশ সদস্যরা৷ একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আমাকে গালাগালি দেন ও গায়ে হাত তোলেন৷
ল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কর্তব্য পালনরত সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাটি আইনমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে জানানো হয়েছে৷ তাঁরা লিখিত অভিযোগ চেয়েছেন৷ আমরা তাদের লিখিতভাবে বিষয়টি জানাব৷’’
পুলিশের হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘‘হামলার ঘটনাটি আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম৷’’
এনএস/এসিবি (প্রথম আলো)