সীমান্তে প্রচুর রুশ সেনা, আলোচনা চায় ইউক্রেন
২১ এপ্রিল ২০২১পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা নিয়ে এখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। সীমান্তে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ''আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। আমি তাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পূর্ব ইউক্রেনে, যেখানে সংঘর্ষ চলছে, আসুন, সেখানে আমরা আলোচনায় বসি।'' তিনি বলেছেন, ''রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনাকারীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই দেশের ট্রেঞ্চ ঘুরে দেখার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।''
সীমান্তে উত্তেজনা
ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। অ্যামেরিকা এবং ইইউ-ও ইউক্রেনের দাবি সমর্থন করেছে। জার্মানি ও ফ্রান্সের দাবি, অবিলম্বে রাশিয়াকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। মস্কোর বক্তব্য, প্রশিক্ষণ ও মহড়ার জন্যই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ''রাশিয়া বিপুল সংখ্যক সেনা সীমান্তে মোতায়েন করেছে। তারা বলছে, সামরিক মহড়া চলছে। আর বাকি পুরো বিশ্ব বলছে, এটা আসলে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একবার বলেছিলেন, লড়াই অনিবার্য হলে প্রথমে আঘাত করা দরকার। কিন্তু প্রত্যেক নেতাকে বুঝতে হবে, লড়াই কখনো অনিবার্য হয় না। লড়াই হলে লাখ লাখ মানুষ বিপন্ন হন।''
আর রাশিয়ার অভিযোগ, অ্যামেরিকা ও ন্যাটোর দেশগুলি কৃষ্ণসাগরে উসকানিমূলক কাজ করছে।
কূটনৈতিক পথে সমাধান চায় ইউক্রেন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান। তবে আক্রান্ত হলে ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি। তিনি বলেছেন, ''ইউক্রেন কি যুদ্ধ চায়? এর জবাব হলো, না। ইউক্রেন কি যুদ্ধের জন্য তৈরি? এর উত্তর হলো হ্যাঁ।''
পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতের সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জিলেনস্কি ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া নিয়ে নেয়। তারপর থেকে রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই করছে। এপর্যন্ত সংঘাতে ১৩ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)