সীমান্ত হত্যা
২ জানুয়ারি ২০১৩নতুন বছরের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয়েছে দু'জন বাংলাদেশি৷ তাঁরা হলেন, মুক্তার আলম এবং তরিকুল ইসলাম৷ আহত হয়েছেন আরো অন্তত দু'জন৷ জানা গেছে, তারা গরু ব্যবসায়ী৷ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার'-এর হিসেব অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে ৩৫ জন এবং ২০১১ সালে ৩১ জন নিহত হয়েছেন৷ আর ২০০০ সাল থেকে এই ১৩ বছরে, সীমান্তে ৯৬৯ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বিএসএফ-এর হাতে৷
আন্তর্জাতিক সম্মর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, বৈধ পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য, বিশেষ করে গরু চোরাচালানিকে যত দিন বৈধ বাণিজ্য করা না হবে, তত দিন এই ধরণের হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে৷ কারণ বিএএসফ-এর সঙ্গে দরকষাকষিতে যখন না মেলে, তখনই হত্যাকাণ্ড ঘটে৷ আর ভারতে এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্স লাগে৷ নতুন দিল্লি এই গরু ব্যবসাকে লাইসেন্স দিয়ে বৈধ করছে না নানা স্বার্থান্বেষী মহলের চাপে৷
তিনি বলেন, শুধু যে বাংলাদেশের নাগরিকরা সীমান্তে প্রাণ হারাচ্ছেন – তা নয়৷ ভারতীয় নাগরিকরাও প্রাণ হারাচ্ছেন৷ তবে ভারতের প্রচার মাধ্যমে তা তেমন গুরুত্ব পায় না৷ তাই দুই দেশের মানবাধিকার কর্মীদেরই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত৷
ড. আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারলে ভারত প্রকৃত অর্থেই সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে৷
জানা গেছে, বাংলাদেশে সীমান্ত হত্যার ঘটনার যাঁরা শিকার তাঁদের ৮০ ভাগই গরু ব্যবসায়ী৷ এর বাইরে কৃষক, জেলেসহ সাধারণ মানুষ, এনমকি শিশুও সীমান্ত হত্যার শিকার হয়েছেন, হচ্ছেন৷