সিরীয়দের গ্রহণ করতেই হবে?
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭২০১৫ সালে সিরিয়ার ৪৮ বছর বয়সি এক ব্যক্তি জার্মানিতে এলে তাঁকে ‘সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন' দেয়া হয়৷ কিন্তু তিনি মনে করেছিলেন, সিরিয়া থেকে আসার কারণে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী তাঁর শরণার্থী হিসেবে থাকার সুযোগ পাওয়া উচিত৷ এই অধিকার পেতে তিনি নর্থরাইন ওয়েস্টাফালিয়া রাজ্যের ম্যুনস্টার শহরের প্রশাসনিক আদালতে আপিল করেন৷ আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিলেও উচ্চ আদালতের বিচারকরা তা বাতিল করে দেন৷ তাঁরা বলেন, সিরীয়রা দেশে ফিরে গেলে যে তাঁদের উপর নিপীড়ন চালানো হবে, এমন কোনো প্রমাণ নেই৷ কাউকে শরণার্থী হিসেবে বিবেচনা করতে হলে তিনি যে তাঁর রাজনৈতিক মতবাদ কিংবা ধর্মের কারণে নিজ দেশে নিপীড়িত হতে পারেন, সেরকম প্রমাণ থাকতে হবে৷ এছাড়া কাউকে যদি তাঁর নিজ দেশে ফেরত পাঠালে তাঁর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাঁকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে বলেও মত দেন উচ্চ আদালত৷
উল্লেখ্য, সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশন পাওয়া ব্যক্তিরা জার্মানিতে এক বছর থাকার ভিসা পান৷ আর যাঁরা শরণার্থী হিসেবে বিবেচিত হন, তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেয়া হয় এবং তাঁরা জার্মানিতে পরিবার নিয়ে আসার সুযোগ পান৷
এদিকে, উচ্চ আদালতের এই রায়কে প্রশাসনিক আদালতগুলোর বিচারকদের জন্য একটি শক্তিশালী সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ কারণ, শুধু নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া নামের একটি রাজ্যের প্রশাসনিক আদালতগুলোতেই ১২ হাজারেরও বেশি আপিল জমা হয়েছে, যেখানে সিরীয়রা সাবসিডিয়ারি প্রোটেকশনের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন৷
সিরিয়া নিয়ে শান্তি আলোচনা
জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রায় ১০ মাস পর জেনেভায় শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে৷ সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীরা চতুর্থ রাউন্ডের এই আলোচনায় অংশ নেবেন৷ শেষ আলোচনা হয়েছিল গত এপ্রিলে৷ সেই সময় সিরিয়ায় সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় কথাবার্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ এরপর সিরিয়ার সরকার বিদ্রোহীদের হাত থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সমর্থ হন৷ এর মধ্যে সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া৷
জেডএইচ/এসিবি (কেএনএ, ডিপিএ, এপি)