সিরিয়ায় শিবিরে হানা, নয় আইএস গ্রেপ্তার
২৯ মার্চ ২০২১বিশাল আল-হল শিবিরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ থাকেন। আর এই শিবিরই আইএস সমর্থকদের ঘাঁটি বলে পরিচিত। সম্প্রতি আইএস সমর্থকরা শিবিরেই বেশ কিছু মানুষকে হত্যা করেছে। এই শিবির নিয়ে অ্যামেরিকার সমর্থনপ্রাপ্ত সিরিয়ান ডিফেন্স ফোর্স রীতিমতো চিন্তায় ছিল। শিবিরে হানা দেয়ার পর তারা টুইট করে জানিয়েছে, আইএসের রিক্রুটার আবু সাদ আল-ইরাকিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আল-হল শিবির কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু এই শিবিরে আইএস কর্মী-সমর্থকদের কার্যকলাপ খুবই বেড়ে গিয়েছিল। আইএস সমর্থকরা সম্প্রতি ৪৭ জনকে হত্যা করেছে।
মার্কিন জোটের মুখপাত্র ওয়েন ম্যারোটো জানিয়েছেন, এসডিএফের অপারেশনের উদ্দেশ্য ছিল, শিবিরের মধ্যে আইএসের কার্যকলাপ বন্ধ করা।
এটাই কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সব চেয়ে বড় শিবির। কুর্দি কর্তৃপক্ষ ও অ্যামেরিকা অতীতে বহুবার দেশগুলির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন তাদের নাগরিকদের শিবির থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কিছু শিশুকে তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকিদের নিতে দেশগুলি আগ্রহ দেখায়নি।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, এই শিবিরেই মানুষকে চরমপন্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, নিয়োগও করা হচ্ছে।
এই শিবিরে বাস করা অনেকেই আইএস সন্ত্রাসবাদীদের পরিবার। ফলে তাদের উপর আইএস কর্মীদের প্রভাব রয়েছে। তারা শিবিরের মানুষদের কুর্দিদের বিরোধিতা করার কথা বলে।
এসডিএফ ও তাদের সমর্থকরা অবশ্য দাবি করে, ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএস-কে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। গত সপ্তাহেই এই বিজয়ের দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সেখানে এসডিএফ জানিয়েছিল, উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় আইএসের দখলে থাকা শেষ ভূখণ্ডও তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। তবে আইএস কর্মীরা বিভিন্ন জেলে বন্দি। তাদের পরিবার শিবিরে আছে। তাদের কাছ থেকে বিপদের সম্ভাবনা আছে।
সিরিয়ায় ২০১১ থেকে বিরোধের জেরে তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন।
অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি)