রুশ বোমাবাজি যুদ্ধাপরাধ: অ্যামনেস্টি
২৩ ডিসেম্বর ২০১৫অ্যামনেস্টি বুধবার যে রিপোর্ট প্রকাশ করে, তা-তে সিরিয়ায় বিভিন্ন বেসামরিক এলাকায় রুশ বোমাবর্ষণে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে৷
‘‘দৃশ্যত কিছু রুশ বিমান হানা সরাসরি বেসামরিক ব্যক্তি অথবা স্থানকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, এমন সব বেসামরিক এলাকার উপর, যেখানে কোনো সামরিক লক্ষ্য থাকতে পারে না৷ এছাড়া হাসপাতাল ইত্যাদির উপরও আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার ফলে বেসামরিক ব্যক্তিরা হতাহত হয়েছে৷ এ ধরনের আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের তুল্য হতে পারে'', বলেছেন ফিলিপ লুথার, যিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির পরিচালক৷
গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস অবধি রাশিয়া হোমস, ইদলিব ও আলোপ্পো প্রদেশগুলিতে যে সব বিমান হানা চালায়, তার মধ্যে ছ'টি পর্যালোচনা করে দেখেছে অ্যামনেস্টি৷ অ্যামনেস্টি বলছে, ঐ সব বিমান হানায় অন্তত ২০০ বেসামরিক ব্যক্তি এবং ডজন খানেক যোদ্ধা নিহত হয়েছে৷
রুশ বিমান আক্রমণের লক্ষ্য হয় বিভিন্ন বসতবাড়ি, একটা বাজার, একটি মসজিদ ও একটি অস্থায়ী হাসপাতাল৷ রুশ সরকার পরিকল্পিতভাবে তা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে থাকতে পারেন, বলেছে অ্যামনেস্টি৷
ইদলিব প্রদেশের আরিহায় একটি জনবহুল বাজার এলাকার উপর তিনটি রকেট পড়ে ৪৯ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হবার কথা বলা হয়েছে অ্যামনেস্টির রিপোর্টে৷
গত অক্টোবর মাসে হোমস প্রদেশের ঘান্টুতে একটি সম্ভাব্য রুশ আক্রমণে ৪৬ জন বেসামরিক ব্যক্ত নিহত হন; তাদের মধ্যে ছিলেন ১১ জন মহিলা এবং ৩২টি শিশু, যারা একটি বসতবাড়ির মাটির তলার ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল – জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷
রাশিয়া যে ঘনবসতি এলাকার উপর আনগাইডেড মিসাইল ও ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে থাকতে পারে, তার হদিশ আছে, বলছে অ্যামনেস্টি৷ ক্লাস্টার বোমা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ৷ ইতিপূর্বে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মানবাধিকার সংগঠনও সিরিয়ায় সম্প্রতি অন্তত ২০ বার ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের খবর দিয়েছিল – এমনকি এই সব বোমা রাশিয়া বা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি হয়ে থাকতে পারে, এমন হদিশও নাকি পেয়েছে এইচআরডাব্লিউ৷
রুশ বোমাবাজি কি সত্যিই যুদ্ধাপরাধ? না এটাও একটা রাজনীতি? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷