1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় ‘প্রচারনা যুদ্ধ'

ক্যার্স্টেন ক্নিপ/এআই২২ আগস্ট ২০১৩

বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠী আবারো নিজের দেশের মানুষের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে, এই দাবি সেদেশের বিরোধী পক্ষের৷ তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ঠিক গ্যাস হামলার দিকে যাওয়া কথা নয় আসাদের৷

https://p.dw.com/p/19UYV
ছবি: Reuters

কাকতালীয় নাকি পরিকল্পিত প্ররোচনা? যে মুহূর্তে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সেদেশে পা রাখলেন জাতিসংঘের পরিদর্শকরা, তখনই বিরোধী পক্ষ এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের নতুন অভিযোগ নিয়ে এলো৷

যদি এসব অভিযোগ প্রমাণ হয়, তাহলে সিরিয়া যুদ্ধ এক নতুন মাত্রা পাবে – যেখানে বলা হচ্ছে দামেস্কের কাছে রাসায়নিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছে তেরশো'র বেশি মানুষ, আহত কয়েক শত৷ অন্তত সিরিয়ার বিরোধী পক্ষ ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিরিয়ান রেভোলিউশনারি' এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এই তথ্য৷

‘ভীতি প্রদর্শন নয়, সমূলে উৎপাটন'

ডয়চে ভেলের এক প্রশ্নের জবাবে সিরিয়া সরকারের বিরোধীপক্ষের জোটের অন্যতম মুখপাত্র হিশাম মারওয়া বলেন, ‘‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে ৮০০ মানুষ মারা গেছেন৷ আর এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন৷''

সিরিয়ার জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট জর্জ সাবরাও এই হামলার খবর নিশ্চিত করেছেন৷ ইস্তানবুলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘এবার আর শাসকগোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে ভয় দেখায়নি, বরং তাদের সমূলে উৎপাটন করেছে৷'' তবে হামলার বিষয়টি স্বাধীনভাবে কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি৷

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেদেশের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানাকে জানিয়েছে, ‘‘বিরোধী পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা৷'' সরকারের দাবি, ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার তদন্তে সিরিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যকার সমঝোতায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বিরোধী ‘সন্ত্রাসীরা'৷ আর একারণেই সরকারের উপর দায় চাপাতে নতুন এই হামলার খবর প্রকাশ করেছে তারা৷

Syrien Rebellen berichten von Giftgasangriff im Region Ghouta
হিশাম মারওয়ার দাবি, কমপক্ষে ৮০০ মানুষ মারা গেছেনছবি: Reuters

উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়

হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মারগ্রেট জোহানসেন মনে করেন, প্রথমে এসব হামলার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে পরিষ্কার হতে হবে৷ কারা এসব হামলা চালাচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি এগুলো বাশার আল-আসাদ করে থাকেন, তার অর্থ হবে তিনি তাঁর কৌশল আমূল বদলেছেন৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো যৌক্তিক কারণ আমি খুঁজে পাচ্ছি না৷ অন্তত শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে৷''

এই বিষয়টি সত্য কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই বলেছে, সিরিয়া যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হবে ‘রেড লাইন' লঙ্ঘনের সামিল৷ যার অর্থ হচ্ছে, সিরিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো সেদেশের বিরুদ্ধে আরো শক্ত পদক্ষেপ নেবে৷ আর সেই পদক্ষেপ আকাশ পথে সেদেশে অভিযান কিংবা তার বেশিকিছুও হতে পারে৷ তাছাড়া জোহানসেনের মতে, ‘‘সামরিকক্ষেত্রে আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও এরকম অস্ত্র ব্যবহারের কোন প্রয়োজন আদৌ বাশার সরকারের আছে কিনা দেখতে হবে৷''

হিশাম মারওয়া বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছেন৷ তাঁর মতে, যৌক্তিক কারণেই বাশার প্রশাসন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে কেননা তারা এখন সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ বুধবার হামলার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে তারা জানাতে চেয়েছে, ‘রেড লাইন' হুমকি নিয়ে ভীত নয় বাশার প্রশাসন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা এই সংকেত দেয় যে, শাসকগোষ্ঠী অনেক মানুষকে হত্যা এবং বিপ্লব বন্ধের জন্য প্রস্তুত৷''

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের পরিদর্শকদলের তদন্ত তিনটি নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ৷ তারমধ্যে সর্বশেষ হামলার স্থল অন্তর্ভুক্ত নেই৷ আর এসব হামলার উৎপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে না জানা পর্যন্ত, ‘প্রোপাগ্যান্ডা ওয়ার' বা ‘প্রচারনা যুদ্ধ' চলতেই থাকবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য