1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিদিন শিশু হত্যা

১৪ জানুয়ারি ২০১৩

সিরিয়ায় প্রতিদিনের মৃত্যুর খবরে দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক এক নতুনত্ব৷ প্রিতিদিনই মারা যাচ্ছে শিশু৷ সোমবার মারা গেছে ১৩ জন৷ আগের দিনও মারা গিয়েছিল ১৪ জন শিশু৷

https://p.dw.com/p/17JPo
A man cries near the graves of his two children killed during a recent Syrian Air Force air strike in Azaz, some 47 km (29 miles) north of Aleppo, August 20, 2012. REUTERS/Youssef Boudlal (SYRIA - Tags: POLITICS CONFLICT CIVIL UNREST TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

বড়দের ক্ষমতার লড়াইয়ে অক্ষম, অবোধ শিশুর মৃত্যু – এ যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিরিয়ায়৷ যু্দ্ধে সব বয়সের মানুষ মারা যাবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আক্রমণের শিকার যদি যুদ্ধরত সশস্ত্র প্রতিপক্ষ হয়, স্বাভাবিক অবস্থায় তাহলে নারী ও শিশুর মারা যাওয়ার কথা নয়৷ তবে সিরিয়ায় দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র৷ প্রতিদিন মূলত সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে শিশু মৃত্যুর হার দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়ার মতোই৷ ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সোমবার দামেস্কে বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর হামলায় হতাহতদের মধ্যে ১৩ জনই শিশু৷ সংস্থাটির প্রধান রামি আব্দেল রহমান জানিয়েছেন, নিহত শিশুদের বয়স ৬ থেকে নয় বছর৷ রোববারের চিত্র আরো ভয়াবহ৷ দামেস্কের কাছে বিদ্রোহী অধিকৃত এক এলাকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালায় আসাদের অনুগত বাহিনী৷ সে হামলায় মারা যায় ৩৬ জন৷ ৩৬ জনের ১৪ জনই নাকি শিশু!

২২ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার শিশু মারা গেছে বলে দাবি করেছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ক'দিন আগেও বলা হচ্ছিল ৪৬ হাজারের মতো৷ আসাদ সরকার যুদ্ধ শুরুর পরই যুদ্ধক্ষেত্রে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে৷ ফলে সংবাদ মাধ্যম সব খবরের ব্যাপারেই সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের ওপর নির্ভরশীল৷ সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ কিন্তু ক’দিন আগে জাতিসংঘ জানায়, তাদের আশঙ্কা সংখ্যাটা কমপক্ষে ৬০ হাজার হবে৷ প্রতিদিন যে হারে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে তাতে জাতিসংঘের অনুমান ঠিক হওয়ারই কথা৷

এদিকে, সোমবার বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলেছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ মানবাধিকার সংস্থা দুটির মতে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাপক হারে৷এ বিষয়ে আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি৷ তাই বলে নিরবও নয় আসাদ সরকার৷ সোমবার সরকারপন্থী বলে পরিচিত আল থাওয়ারা পত্রিকা তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ ও আরব লিগের সিরিয়া বিষয়ক দূত লাখদার ব্রাহিমির৷ পত্রিকাটি লিখেছে, ‘‘ব্রাহিমি এক বুড়ো পরিব্রাজকের মতো, যিনি ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা পৃথিবী দেখে ফেলেছেন, কিন্তু সিরিয়া সংকট নিরসনের চেষ্টাকে ব্যর্থ করা ছাড়া আরে কিছুর চেষ্টাই করেননি৷ ’’

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

Kinder und Eltern - Situation in Flüchtlingsunterkünften für syrische Flüchtlinge in Jordanien und Libanon. Fotograf : Moritz Wohlrab, Aktion Deutschland hilft Pressestelle der Aktion "Deutschland hilft" Nutzungsrechte zeitlich und örtlich unbegrenzt für die Deutsche Welle eingeräumt ***Bilder nur im Zusammenhang mit der Berichterstattung zu Aktion Deutschland hilft verwenden***
বড়দের ক্ষমতার লড়াইয়ে অক্ষম, অবোধ শিশুর মৃত্যুছবি: Moritz Wohlrab, Aktion Deutschland hilft
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য