1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক সপ্তাহের মধ্যে বোমাবাজি বন্ধ?

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বৃহস্পতিবার রাত্রে মিউনিখের নিরাপত্তা সম্মেলনে অসম্ভব সম্ভব হলো, এমন বলা চলে না৷ তবে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘‘যুদ্ধ বন্ধের'' যে সমঝোতা হয়েছে, তা আশাজনক বৈকি – বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আপোশ৷

https://p.dw.com/p/1HuFq
Syrien Russischer Bomber wirft Bombe ab
ছবি: picture-alliance/dpa/Russian Defence Ministry's Press and Information Department/TASSpicture-alliance/dpa/Russian Defence Ministry's Press and Information Department/TASS

শুক্রবার বিকেলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেছেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের সঙ্গে মিউনিখে দেখা হল৷ মানবিক সাহায্য পাঠানো ও যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে অবিলম্বে প্রগতি করার প্রয়োজনটা স্পষ্ট করে দিয়েছি৷''

মানবিক সাহায্য পাঠানোর পথ খোলা নিয়ে আলোচনা হবে আজ শুক্রবার জেনেভায়, একটি ওয়ার্কিং গ্রুপে৷ সাময়িক যুদ্ধবিরতির ‘‘মোডালিটি'' বা সাধনপ্রণালি নির্ধারণ করবে একটি টাস্ক ফোর্স৷ সেই ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং টাস্ক ফোর্স, উভয়েরই সভাপতিত্ব করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, যুগ্মভাবে৷

Deutschland Syrien-Konferenz Kerry Lavrow de Mistura
ছবি: picture-alliance/AA/L. Barth

১৭টি দেশের প্রতিনিধি সম্বলিত সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপ-এর হয়ে এই ফলাফলকে ‘‘লক্ষণীয় অর্জন'' হিসেবে অভিহিত করা সত্ত্বেও কেরি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘‘যুদ্ধ বন্ধ'' সমঝোতা, যদি সত্যিই তা কার্যকরি হয়, তাহলেও সেটা হবে যুদ্ধে একটা সাময়িক বিরতি এবং তাকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে পরিণত করতে আরো অনেক কাজ করতে হবে৷ এবং ‘ব্রেকিং নিউজ' হিসেবেও এই সমঝোতা যে সমস্যার তুলনায় সত্যিই একটা সূচনা ছাড়া আর কিছু নয়, তা পরিষ্কার হয়ে যায় সিরিয়ায় ধ্বংসলীলার নানা ছবি থেকে৷

এমনকি কেরি স্বয়ং স্বীকার করেছেন যে, মিউনিখের সমঝোতা ‘‘কাগজি প্রতিশ্রুতি''-র বেশি আর কিছু নয়৷ যেটা আরো স্পষ্ট হয়ে যায় এই ধরনের একটি টুইট থেকে: ইউলিয়ান ব়্যোপকে সিরিয়ায় রুশ বোমাবাজির ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘‘মিউনিখ যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পরের দিন৷ সিরিয়া জুড়ে রাশিয়ার ‘স্পন্সর' করা বাজি ফুটছে!''

আকাশ থেকে বোমাবাজি এক ব্যাপার৷ কিন্তু এই ‘‘যুদ্ধ বন্ধ'' যদি সত্যিই না ঘটে, তাহলে মাটিতে কী ঘটবে অথবা ঘটতে পারে, সে চিত্রটা ক্রমেই আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন স্বয়ং মিউনিখে আসেননি৷ কিন্তু রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ জার্মান ‘হান্ডেল্সব্লাট' পত্রিকার সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, সিরিয়া সংঘাতে – বিদেশিরা – যদি স্থলসৈন্য নিয়োগ করে, তবে তা থেকে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে৷

‘‘স্থল অভিযান সব সংশ্লিষ্ট পক্ষকে যুদ্ধে টেনে আনবে'', বলেন মেদভেদেভ৷ সিরিয়ায় স্থলসৈন্য পাঠানো সম্পর্কে সৌদি আরবের প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মেদভেদেভ বলেন, ‘‘মার্কিনিরা ও আমাদের আরব সহযোগীদের ভেবে দেখতে হবে, তারা একটি অনন্ত যুদ্ধ চান কিনা৷''

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান