সিরিয়া
১১ সেপ্টেম্বর ২০১২
চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার দেশ এখন সিরিয়া৷ প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ছেন শত শত মানুষ৷ যুদ্ধ চলছে৷ এর মাঝে বিদ্রোহী অধিকৃত অঞ্চলে চলছে জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা৷ কিছু এলাকায় শরিয়া আইন অনুযায়ী বিচারকাজও শুরু হয়ে গেছে৷
এদিকে সরকারি বাহিনী আলেপ্পো এবং তার পাশের হাইদারিয়েহ, হানানো ও মেয়সির অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে তীব্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে৷ অঞ্চলগুলো ছেড়ে পালাচ্ছেন শত শত মানুষ৷ মঙ্গলবার প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন প্রায় তিন শ ফিলিপিনো কর্মী৷ এমন পরিস্থিতির জন্য দু পক্ষকেই দায়ী মনে করছে জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান নাভি পিল্লাই বলেছেন, আসাদ সরকারের বাহিনী ও তাঁর বিরোধীদের এ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছ, ঘটছে যুদ্ধাপরাধ৷ এর বিরুদ্ধে শিগগিরই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার মনে করেন তিনি৷
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সমমনা দেশগুলোরও একই কথা৷ সিরিয়ায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য জোর প্রয়োগের কথা অনেক আগে থেকেই বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র৷ রাশিয়া সফরে গিয়ে সে কথাই বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনা হতাশা দিয়েই শেষ হয়েছে তাঁর৷ সে হতাশার কথা নিজেই জানিয়েছেন হিলারি৷ বলেছেন, আলোচনায় কোনো সুরাহা হলো না, মতপার্থক্য রয়েই গেল৷ এখন এক মাস পর জাতিসংঘের যে সাধারণ সভা হবে সেখান থেকে ভালো কিছু বেরিয়ে আসে কিনা দেখতে হবে৷
কিন্তু সেখানে রাশিয়ার অবস্থান পাল্টানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে৷ সে দেশের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর দেশ মনে করে বাশার আল আসাদের এখনো যথেষ্ট জনসমর্থন রয়েছে৷ সুতরাং বাইরের হস্তক্ষেপের কোনো প্রয়োজন নেই৷ একই কথা শোনা গেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মানাফ তিলাসের কণ্ঠেও৷ আসাদ সরকারের পক্ষ ছেড়ে ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়া সিরিয়ার এই সামরিক কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন, সিরিয়ায় বাইরের হস্তক্ষেপ এখনো তিনি চান না৷ সিরিয়ার ভাগ্য সে দেশের জনগণেরই নির্ধারণ করা উচিত৷
এসিবি / এসবি (রয়টার্স)