1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মস্কোর অবস্থান

১ ফেব্রুয়ারি ২০১২

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিরিয়া সংক্রান্ত প্রস্তাবে আবার ভেটো দিল রাশিয়া৷ প্রস্তাবে দামেস্ক সরকারকে তার পাশবিক মানবাধিকার লংঘন অবিলম্বে বন্ধ করার এবং আরো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/13uLU
সিরিয়া জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় আন্দোলনকারীরা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

মস্কোর আশঙ্কা, এরকম একটি প্রস্তাব পশ্চিমের সামরিক হস্তক্ষেপের পথ খুলে দিতে পারে, যেমনটি ঘটেছে লিবিয়ার ক্ষেত্রে৷ এই উদ্বেগও আছে তার যে, মুবারক আর গাদ্দাফির পর মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার শেষ আস্থাভাজন সিরিয়ার বাশার আল আসাদকেও হারাতে হবে৷ তাছাড়া আসাদ সরকারের সঙ্গে অত্যন্ত লাভজনক অস্ত্র ব্যবসা এবং সিরিয়ার টার্টুস'এ শেষ রুশ সামরিক ঘাঁটিও হুমকির মুখে পড়বে৷

কিন্তু পুটিন সরকার ভেটো দিয়ে গুরুতর এক ভুল করলো৷ কেননা সেই সোভিয়েত আমলের ক্ষমতা প্রয়োগের পুরনো রীতিতে এই সরকার এমন একজন স্বৈরশাসককে মদদ দিচ্ছে যার হাত রক্তমাখা৷ একসময় মস্কোর কাছে সাদ্দাম যা ছিল, বাশার আল-আসাদ এখন ঠিক তাই৷ ফলে সিরিয়ায় একটি রাজনৈতিক নিষ্পত্তির সন্ধানে মধ্যস্থের ভূমিকা নেয়ার যোগ্যতাও রুশ সরকার হারিয়েছে৷ বিশ্বাসযোগ্য এক মধ্যস্থের ভূমিকা রাখতে পারবে মস্কো তখনই যখন সে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আসাদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে৷ তা নয়তো সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের সঙ্গে আপোশ আলোচনার প্রস্তাবটি শুধু তার সমর্থনপুষ্ট আসাদের জন্য সময় অর্জনের এক কৌশল বলেই মনে হবে৷

সামরিক দিক দিয়েও আসাদের উপর চাপ ক্রমশই বাড়ছে৷ বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটা এখন দামেস্ক-এর উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছে৷ এরকম কথাও বলা হচ্ছে যে, দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ এখন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছে৷ স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সংখ্যা খুবই কম৷ তবে দীর্ঘস্থায়ী এক গৃহযুদ্ধ সচল রাখার জন্য তা যথেষ্ট৷

মস্কোর বাধা দেয়ার রাজনীতিতে বর্তমানে চীন তার পাশে রয়েছে৷ তবে সুবিধাবাদী ভাবনা থেকে এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল পাওয়ার জন্য বেইজিং আরব দুনিয়ার নতুন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে রফা করে ফেলতে পারে৷ তখন দেখা যাবে যে, রাশিয়াই একমাত্র শক্তি যেকিনা শেষ সময় পর্যন্ত অত্যাচারী পীড়কদের পাসে দাঁড়িয়ে আছে৷

পুটিন সরকারকে বুঝতে হবে, শুধু যে পশ্চিমা শক্তিরাই নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ এই প্রস্তাবের পিছনে রয়েছে তা নয়৷ পরিষদে এই প্রস্তাব ওঠায় মরক্কো৷ এবং আরব লিগের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সমর্থন আছে তাতে৷ সত্যি বলতে আরব রাষ্ট্রগুলোই আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র সমাজকে এ ব্যাপারে সক্রিয় করেছে৷ তাদের পর্যবেক্ষক মিশন ব্যর্থ হবার পর তারা নিজেরাই এই প্রস্তাবের মাঝ দিয়ে আসাদকে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সরাসরি৷ মস্কোর ‘নিয়েত' অর্থাৎ না তাকে বিশ্ব ইতিহাসের নীরব দর্শক করে তুলতে পারে৷

প্রতিবেদন: ডানিয়েল শেষকেভিৎস/আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য