1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিভিল সার্ভিসের পাঠশালা

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২৯ জানুয়ারি ২০১৮

পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস, ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস ও ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের জন্য যোগ্য সদস্য গড়ায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন৷ আর এ উদ্যোগের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার৷

https://p.dw.com/p/2rgTg
Indien Ramakrishna Mission
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস), ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) এবং ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস)-এর সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীরা অনেক বছর ধরেই পিছিয়ে পড়েছে৷ যথেষ্ট সংখ্যক আইএএস, আইএফএস এবং আইপিএস পশ্চিমবঙ্গ থেকে হচ্ছে না, পরবর্তীতে যার প্রভাব পড়ছে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্মে৷ সেই খরা কাটাতে এবার উদ্যোগী হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন৷ এই বছর নরেন্দ্রপুর মিশনের ৭০ বছর পূর্ণ হলো৷ একইসঙ্গে নরেন্দ্রপুর মিশন বিদ্যালয়ের ৬০ বছর এবং লোকশিক্ষা পরিষদের ৫০ বছর পূর্তি পালিত হচ্ছে৷ এই প্ল্যাটিনাম, ডায়মন্ড এবং গোল্ডেন জুবিলির উদযাপন শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে৷ রবিবার সেই উপলক্ষ্যে নরেন্দ্রপুরে উপস্থিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, রাজ্যের মুখ্য পরিবহণ সচিব এবং নরেন্দ্রপুরের প্রাক্তন ছাত্র আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি৷ স্থানীয় পুর প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন৷ সেই অনুষ্ঠানেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে আইএএস, আইএফএস-এর ঘাটতির প্রসঙ্গটি তোলেন৷ তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং অনুরোধ জানিয়েছেন, নরেন্দ্রপুরে যদি ভবিষ্যতের আমলাদের জন্যে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে৷

Indien Ramakrishna Mission
এই বছর নরেন্দ্রপুর মিশনের ৭০ বছর পূর্ণ হলোছবি: DW/S. Bandopadhyay

নরেন্দ্রপুর মিশনের বর্তমান সম্পাদক স্বামী সর্বলোকানন্দ জানান, তাঁদেরও ভাবনায় এমন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে৷ যেখানে মিশন পরিচালিত স্কুল-কলেজের সেরা ছাত্ররা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত হয়ে ওঠার তালিম পাবেন৷

এই কথার সূত্র ধরেই কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, এমন উদ্যোগে রাজ্য সরকারও সর্বতো সাহায্য করবে রামকৃষ্ণ মিশনকে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিশেষ নির্দেশ আছে, রামকৃষ্ণ মিশনের কোনো ভালো কাজ যেন কোনো কারণে আটকে না যায়৷ বস্তুত এদিনই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার আওতায় থাকা নরেন্দ্রপুর মিশনের প্রায় ১১৫ একর জমির মিউটেশন করে, তার নথিপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস এবং ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা সরকার৷ এবং ওই গোটা জমিকে এদিনই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়৷

রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী তাঁর ভাষণে নরেন্দ্রপুর মিশনের স্কুল ও কলেজের পরিবেশ, সেখানকার শিক্ষাদানের ব্যবস্থা ও শিক্ষার মানের প্রশংসা করে বলেন, প্রকৃত দেশগড়ার কারিগর হল নরেন্দ্রপুর মিশন৷ স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষার মাধ্যমে চরিত্র গঠনের যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন, তাকেই সমাজে আরও প্রসারিত করছে আজকের নরেন্দ্রপুর৷ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছেলেরা এখানে পড়তে আসে এবং ফের ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, নিজের নিজের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়, নরেন্দ্রপুরের নাম উজ্জ্বল করে৷