সিবিআইকে মোদী সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার নির্দেশ
১৮ আগস্ট ২০২১সেই ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সিবিআই হচ্ছে সরকারের খাঁচাবন্দি তোতা। তখন ইউপিএ-র আমল। সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছিল। আট বছর পর মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানাল, খাঁচায় বন্দি সিবিআই নামক তোতাটিকে মুক্ত করতে হবে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা সিএজি যেমন স্বশাসিত সংস্থা এবং সংসদের কাছে দায়বদ্ধ, তেমনই সিবিআই-কেও প্রকৃত স্বশাসিত সংস্থা করে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট যখন সিবিআইকে খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি বলেছিল, তখন ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। তারপর সরকার বদল হয়েছে। ইউপিএ-র জায়গায় এনডিএ ক্ষমতায় এসেছে। বিরোধীরা একই অভিযোগ করেছে যে, সিবিআইকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কোনো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হলেই সিবিআই সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিরোধী চাপ বেশি হলেই বিরোধী নেতাদের পিছনে সিবিআই-কে লাগিয়ে দেয়া হয়। ইউপিএ জমানায় বিজেপি মনমোহন সিং সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করত।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট ১২ দফা নির্দেশ দিয়ে বলেছে, এটা হলো সিবিআইকে খাঁচামুক্ত করার প্রয়াস। তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে আলাদা আইন করে সিবিআইয়ের হাতে আরো ক্ষমতা দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আইন করতে হবে। সিবিআই-কে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। সরকারের হাতে সিবিআইয়ের কোনো প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
বিচারপতিরা তাদের রায়ে বলেছেন, সিবিআই-কে নির্বাচন কমিশন ও সিএজির মতো স্বাধীন স্বশাসিত সংস্থা করতে হবে। সিবিআই ডিরেক্টর সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে রিপোর্ট করবেন। তাকে পার্সোনেল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেতে হবে না।
বিচারপতিরা বলেছেন, সিবিআইয়ের কাজের সুযোগসুবিধা বাড়াতে হবে। অ্যামেরিকায় এফবিআই, যুক্তরাজ্যে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো তদন্তকারী সংস্থা হতে হবে সিবিআই-কে। তাদের জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ থাকবে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)