1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিঙ্গাপুরে এইচআইভি আক্রান্তদের তথ্য ফাঁস

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এইচআইভি আক্রান্ত এক মার্কিন নাগরিক সিঙ্গাপুরে ঐ দেশের ও বিদেশি এইচআইভি আক্রান্ত নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করেছেন৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ১৪ হাজার ২০০ মানুষের তথ্য ফাঁস করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3CadG
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Dovarganes

গত বছর সিঙ্গাপুরের জাতীয় স্বাস্থ্য তথ্যভাণ্ডারে সাইবার হামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছিল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ কিন্তু সেসময় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছিল৷ আর এবার ফাঁস হল এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য

মার্কিন নাগরিক মিকি ফেরেরা ২০০৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে ছিলেন এবং ২০১৭ সালে মাদক সংক্রান্ত নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ এসব কারণে আদালতের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হন এবং কারাভোগের পর তাকে সিঙ্গাপুর থেকে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়৷

গত সপ্তাহে মিকি অনলাইনে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেন৷ ২০১৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্ত ৫ হাজার ৪০০ সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থানরত ৮,৮০০ বিদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার, নাম, আইডি নাম্বার, ঠিকানা প্রকাশ করেন তিনি৷

সিঙ্গাপুরে এইচআইভি সংক্রমিত বিদেশি নাগরিকদের দীর্ঘ সময় সেদেশে থাকার নিয়ম নেই৷ এসব ব্যক্তিদের কর্ম ভিসা এবং পর্যটন ভিসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে দেশটিতে৷

২০১৬ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানতে পারে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে মিকি নিজের এইচআইভিতে আক্রান্ত সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলেছেন৷ গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় জানতে পারে এবারও মিকি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছেন৷ মিকি'র প্রেমিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন এবং তিনিই এ সুযোগ সৃষ্টি করেছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷ মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিকিকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার পর তিনি বিদেশেই অবস্থান করছেন৷ কিন্তু কোন দেশে তা নিশ্চিত করেনি মন্ত্রণালয়৷

সিঙ্গাপুরভিত্তিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাকশান ফর এইডস জানিয়েছে, এই ঘটনাটি এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের জন্য অশনি সংকেত বয়ে আনবে৷ যে ব্যক্তি এই জঘন্য অপরাধ করেছে, তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করে তারা৷

মিকির বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে এবং যে দেশে তিনি রয়েছেন, সেদেশের কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ৷

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকরা মিকি'র সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷

এপিবি/এসিবি (রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য