1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুমকি

১৫ জানুয়ারি ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থি বিভিন্ন সংগঠন৷ নাহলে আগামী সপ্তাহ থেকে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের৷

https://p.dw.com/p/45ZhN
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: Mortuza Rashed/DW

২০১৮ সালের একটি মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ৷ সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শওকত মাহমুদ বলেন,  ‘‘আজ জেলখানাগুলোতে পেশাজীবীরা আটক আছেন, তারা মত প্রকাশ করতে পারছেন না, মানবাধিকার চর্চা করতে পারছেন না৷ মিথ্যা মামলায় তাদেরকে জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভয় ধরানোর জন্য তাজমেরী ইসলাম গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷’’

তার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সম্মিলিত পেশাজীবী এক সাপ্তাহের মধ্যে দেখতে চাই তাজমেরী ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কিনা৷ যদি তাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে রাজপথে আমাদের আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে, এই আন্দোলন স্বৈরাচার সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হবে৷’’

সাবেক এই শিক্ষকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল সাদা দলও৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম কেবল একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন নারী ও জ্যেষ্ঠ নাগরিক৷ মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারের প্রেরণের ঘটনাকে আমরা মানবাধিকারের পরিপন্থি বলেও মনে করি৷’’

সাদা দলের আহ্বায়ক পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘‘রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন এবং বিএনপিকে ধ্বংস করে নিজেদের রাজনৈতিক একাধিপত্য বজায় রাখার জন্য সরকার যে ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করছে, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা এরই অংশ বলে আমাদের ধারণা৷’’

মারপিটের মামলার আসামি

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে তাজমেরী ইসলামকে ঢাকায় তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ঐদিনই আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারপিটসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় উত্তরা পশ্চিম থানার এক মামলায় আসামি এই শিক্ষক৷

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাজমেরী এস ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল৷ ওয়ারেন্ট তামিল টিম তাকে আদালতে হাজির করালে আদালত কারাগারে পাঠান৷ কোন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ওয়েরেন্টে অত বিস্তারিত লেখা থাকে না৷ আর উনি নেতা বা খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাও জানা ছিল না। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি৷’’

তাজমেরী ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক৷ তিনি বিভিন্ন মেয়াদে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন৷ বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তিনি৷

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান শুক্রবার বিডিনিউজকে জানান, একটি রাজনৈতিক মামলায় তাজমেরী এস ইসলামকে তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলা হয়৷ এ সময় তার জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷

আদালতের নির্দেশের পর ড. তাজমেরী ইসলামকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মহিলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন৷

এফএস/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান