1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সাবেক জাসদ নেতারা আ.লীগ, বিএনপিতে ঢুকে ষড়যন্ত্র করছে'

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দুটি টেলিফোন কথোপকথনের অডিও প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মাহমুদুর রহমান মান্না তুমুল আলোচনায়৷ তাঁকে আটক করার খবরে আলোচনা-সমালোচনা আরো বেড়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Egbs
Symbolbild Roaming-Gebühren
ছবি: picture-alliance/dpa

জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া মান্নাকে ‘ওয়ান ইলেভেন'-এর সময়ে সংস্কারপন্থি হয়ে ‘মাইনাস টু' ফর্মুলা কার্যকর করতে চাওয়ার অভিযোগে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷ তারপর তিনি ‘নাগরিক ঐক্য' নামের একটি সংগঠনের প্রধান হলেও মূলত টক-শো'র সঞ্চালক এবং বক্তা হিসেবেই বেশি সক্রিয় ছিলেন৷ সম্প্রতি ‘সুশীল সমাজ' যে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছিল তার সঙ্গেও ছিলেন মান্না৷ পরে তাঁকে এবং ড. কামাল হোসেনকে সেখান থেকে বাদ দেয়া হয়৷

বাদ পড়লেও নিষ্ক্রিয় ছিলেন না মান্না৷ টেলিভিশন চ্যানেলের টক শো-গুলোতে প্রায় নিয়মিতই দেখা যেতো তাঁকে৷ সেখানে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতেন৷ বলতেন নির্বাচন হতে হবে, সরকারের উচিত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপে বসা৷ কিন্তু অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির সঙ্গে টেলিফোন কথোপকথনে মান্নাকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে হয়নি৷ প্রথমে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং তারপর বাংলাদেশের প্রায় সব সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কথোপকথনের বিবরণে বরং তাঁকে সামরিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পরিবর্তনে উৎসাহী বলেই মনে হয়েছে৷ সেই আলাপচারিতায় তাঁকে কয়েকজন জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করতেও শোনা যায়৷

তবে বিদেশে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে মান্নার টেলিফোন কথোপকথন নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে৷ সেখানে তিনি তাঁর জনসভায় লোক সরবরাহের জন্য সাদেক হোসেন খোকাকে অনুরোধ জানিয়েছেন৷ এছাড়া চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনে দু-একজন মারা গেলে সেটাও স্বাভাবিক হবে বলেও নাকি মত প্রকাশ করেছেন তিনি৷

এদিকে মান্নার পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ভোররাতে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন লোক তাঁকে নিয়ে গেছে৷ তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মান্নাকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন৷

টুইটার এ বিষয়টি নিয়ে সরগরম৷

মান্নার পরিবার বলছে তাঁকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, পুলিশ বলছে তারা নেয়নি - তাই ইউসুফ চৌধুরী নামের একজনের আশঙ্কা - এটাও একটা গুমের ঘটনা হতে পারে৷

আব্দুস সালামের মনেও একই শঙ্কা,

পুরো ঘটনায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন আলী মোহাম্মদ মিসকাত৷ মান্না সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হবার ঘোষণা দেয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটেছে বলে ব্যাপারটি নিয়ে মিসকাত সন্দিহান৷

তবে মঈন উদ্দীনের মনে এমন কোনো সন্দেহ বা শঙ্কা নেই৷ বরং তিনি মনে করেন এক সময় চরমপন্থি রাজনীতিতে সক্রিয় কিছু জাসদ নেতা এখন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিতে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছেন৷

তিনি আরো মনে করেন, মান্না প্রকৃত অর্থেই একজন ষড়যন্ত্রকারী আর এ কারণে তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত৷ তাঁর মতে, সামরিক শাসন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো সাময়িক পরিবর্তন আনবে, কিন্তু গণতন্ত্র পুরোপুরি হারিয়ে যাবে৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য