সাধারণ পাসপোর্ট পেলেন নওয়াজ শরীফ
২৬ এপ্রিল ২০২২নওয়াজের নাম এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট (ইসিএল) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে ডিপ্লোমেটিক লাল পাসপোর্ট নয়, তাকে নতুন গ্রিন পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। আগামী ১০ বছর এই পাসপোর্ট বৈধ থাকবে। এই পাসপোর্ট পাওয়ার পর তার পাকিস্তানে ফেরার আর কোনো বাধা থাকল না। জিও টিভি জানিয়েছে, গত ২৩ এপ্রিল এই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ডিপ্লোমেটিক লাল পাসপোর্ট দেয়া নিয়ে গত এক বছর ধরে পাকিস্তানে বিতর্ক চলছে। পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র সংবাদপত্র দ্য ডনকে জানিয়েছে, নওয়াজ নিজেই সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন জানিয়েছিলেন। সেটাই তাকে দেয়া হলো।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, নওয়াজের ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারির পর বাতিল হয়ে যাবে।
মন্ত্রী এই বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি, কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রবীণ অফিসার বলেছেন, নওয়াজকে লাল পাসপোর্ট দেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ওই পাসপোর্টের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। তিনি যখন যুক্তরাজ্য যান, তখন ওই পাসপোর্ট নিয়েই গেছিলেন। নিয়মমতো তার ওই পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা। তারপর ইমরান খান সরকার তাকে আর ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট দেয়নি।
দ্য ডন জানাচ্ছে, মন্ত্রিসভা গঠন করার আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তার ভাইয়ের জন্য ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেন। তার দেশে ফেরার পথ সুগম করতেই এই নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর রানা সালাউল্লাহ গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, নওয়াজ শরীফকে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টই দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, এটা খুবই দুঃখের কথা যে, যিনি তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তাকে নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে চিকিৎসার জন্য পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ আট সপ্তাহের জামিন পান। তাকে চিকিৎসার জন্য চার সপ্তাহ বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এখনো লন্ডনে আছেন।
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বহুবার অভিযোগ করেছেন, তার স্বাস্ত্য সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে নওয়াজ শরীফ লন্ডনে বসে আছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইমরান বলেছিলেন, নওয়াজকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিয়ে সরকার ভুল করেছে।
গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট নওয়াজকে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট না দেয়ার জন্য একটি আবেদন খারিজ করে দেয়।
জিএইচ/এসজি (দ্য ডন, জিও টিভি)