সাগর-রুনি
৭ এপ্রিল ২০১২একই উত্তর খুঁজছেন সাগরের স্ত্রী মেহেরুন রুনির স্বজনরা৷ আসলে বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলের সকলেই আজ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন৷ তারা জানতে চান, খুনীদের ক্ষমতা কী সরকারের চেয়েও বেশি? ন্যায় বিচারের লম্বা হাত কি তাদের পর্যন্ত পৌঁছে না?
সাগরের মা সালেহা মনির গত দুইটি মাস ধরে ছেলে ও বৌয়ের হত্যার বিচার চেয়ে আসছেন৷ সরকারের প্রতি তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি শুধু জানতে চাই আমার ছেলেকে কেন মারা হলো?'' হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কোন অগ্রগতিও তিনি জানতে পারেননি৷ ‘‘পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা কেবল বলে তদন্তের খাতিরে কোন কিছু বলা যাবে না৷ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ মুখ খুলছে না'', বলেন তিনি৷ এই দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়েই এই বৃদ্ধার জিজ্ঞাসা, ‘‘আদৌ কি বিচার পাবো আমি?''
সরকারের কাছ থেকে এই প্রশ্নের যথার্থ উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি৷ গত ১১ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজ বাসায় সাগর-রুনি দম্পতি নির্মমভাবে খুন হন৷ এর পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হুঙ্কার ছাড়েন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনীদের ধরা হবে৷ তার কিছুদিন পর তদন্তের দায়ভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ঘাড়ে তুলে নেন৷ কিন্তু কথার ফানুসেই সেসব থাকে সীমাবদ্ধ৷ অন্যদিকে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোও শুরুর দিকে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলনের ইঙ্গিত দেয়৷ তবে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তারা রোববারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করে এক মাসের জন্য৷ তাই আগামী একমাস এই বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য করার সুযোগ আর থাকলো না সাংবাদিকদের৷
অবশ্য বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল মনে করছেন এতে তাদের লাভ হয়েছে৷ প্রথমত: সরকার তাদের আন্দোলনের পর নাড়া খেয়েছে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাদের ডেকেছেন৷ আর তাঁকে সম্মান জানাতেই সাংবাদিকরা আরও ধৈর্য ধারণ করছে৷ দ্বিতীয়ত: এই সময়সীমার মধ্যে কোন অগ্রগতি না হলে এরপর কঠোর আন্দোলন দিতে তাদের আর কোন পিছুটান থাকবে না৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই