ভোল পাল্টেছে তদন্তকারীরা
১৫ অক্টোবর ২০১২গত ৯ই অক্টোবর সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতারের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর৷ ইতিমধ্যেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ব়্যাব৷ তাদের মধ্যে ৪ জন আগের একটি ডাকাতি মামলার আসামি, একজন ড্রাইভার একজন দারোয়ান এবং একজন সাগর-রুনির পরিচিত বলে দাবি করে ব়্যাব৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ডিএনএ'র পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের সনাক্ত করা হয়েছে৷
তবে এরই মধ্যে ভোল পাল্টেছে তদন্তকারীদের৷ তারা বলছেন, আটক ৭ জন সন্দেহভাজন৷ এখনো নিশ্চিত নয় তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না৷ তাই হত্যাকাণ্ডের মোটিভও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়৷ এই অবস্থায় সাংবাদিক নেতারা আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত নিয়ে আবারো অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাগর-রুনির প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে তথ্য প্রমাণসহ৷ কোন নাটক মেনে নেবেন না সাংবাদিকরা৷ আর এই তদন্ত ২৪শে নভেম্বরের মধ্যে শেষ করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়৷
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিম গাজী বলেন, সাংবাদিকদের আন্দোলন থামবে না৷ সাগর-রুনির হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠেই থাকবেন তারা৷ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷
এদিকে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আটক সাঈদের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী ঢাকার বাংলামোটর এলাকায় রাস্তার পাশে একটি ভুট্টার দোকান চালাতেন৷ গত ১লা সেপ্টেম্বর তাকে আটক করে এখন এই মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷
ব়্যাবের সন্দেহভাজনের একজন দারোয়ান এনামুল এখনো পলাতক৷ গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে সাগর-রুনি সাংবাদিক দম্পতি ঢাকায় তাদের নিজ বাসায় খুন হন৷ ৮ মাসেও তদন্তকারীরা হত্যার কারণ জানাতে পারেনি৷ আর তথ্য প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট কোন আসামিকে গ্রেফতারের কথাও জানায়নি তারা৷ যারা আটক হয়েছেন তারা সবাই সন্দেহভাজন৷