1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেঙ্গুইন-মানুষের অমর প্রেম

১০ মার্চ ২০১৬

পেঙ্গুইন আর মানুষের ভালোবাসার অসাধারণ এক দৃষ্টান্ত৷ একটি পেঙ্গুইনের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ব্রাজিলের এক জেলে৷ এখন প্রতি বছর সাগর থেকে এসে প্রাণরক্ষাকারীর সঙ্গে দেখা করে যায় সেই পেঙ্গুইন, ভালোবাসায় সিক্ত হয় দু'জন৷

https://p.dw.com/p/1IARc
Antarktis Adeliepinguin
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Lewins

চার বছর আগে মাছ ধরতে গিয়েই ‘জিনজিং'-এর দেখা পেয়েছিলেন হোয়াও পেরেরা ডি সুজা৷ জিনজিং-ই সেই পেঙ্গুইন, যাকে দেখতে প্রতিদিন ইউটিউবে হুমড়ি খায় হাজার হাজার মানুষ৷

২০১১ সালে সাগরের জলে ভাসমান তেলে আটকে মরতে বসেছিল জিনজিং৷ দেখে বড় মায়া হয় ডি সুজার৷ কোলে করে নিয়ে যান ঘরে৷ সেবা দিয়ে বাঁচিয়েও তোলেন৷ বেঁচে উঠে কিন্তু সাগরে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেনি জিনজিং৷ গতিবিধি দেখে ডি সুজার মনে হয়েছিল, সাউথ অ্যামেরিকান ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইনটি বুঝি সাগরে আর ফিরবেই না৷

কিন্তু একদিন ঠিকই সাগরে উধাও হলো জিনজিং৷ ডি সুজা তো ধরে নিয়েছিলেন, জিনজিং এবার তাকে ভুলেই যাবে৷

৭১ বছর বয়সি ডি সুজার এই ভুলও ভাঙে এক বছর না পেরোতেই৷ প্রাণ বাঁচানো প্রিয় মানুষটির কাছে একদিন ঠিকই ফিরে এলো জিনজিং৷

সেই থেকে প্রতিবছরই চলছে যাওয়া-আসা৷ প্রতিবছর একবার ডি সুজার বাড়িতে বেড়াতে আসে জিনজিং৷ এসেই উঠে পড়ে কোলে৷ খিদে পেলে হা করে থাকে৷ মুখে তখন একটা একটা করে সার্ডিন মাছ তুলে দেন ডি সুজা৷ গোসলের সময়ে আদুরে সন্তানের মতো চোখ বুঁজে থাকে৷ ডি সুজা যেন তার পরম বন্ধু বা পিতা৷

অন্যের বেলায় জিনজিং একেবারে অন্যরকম৷ কেউ আদর করতে গেলেই ঠুকরে দেয়৷ তা দেখে ডি সুজা বলেন, ‘‘আমি এই পেঙ্গুইনকে আমার সন্তানের মতো ভালোবাসি৷ আমার ধারণা পেঙ্গুইনটিও ভালোবাসে আমাকে৷ অন্য কাউকে ও কাছেই ঘেঁষতে দেয় না, কাছে গেলেই ঠুকরে দেয়৷ অথচ দেখুন কীভাবে ও আমার কোলে এসে বসে থাকে, গোসল করাতে দেয়, সার্ডিন খাওয়ানোর সময় চুপ করে হা করে থাকে৷''

ডি সুজা আর জিনজিংয়ের এই ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন লাখো মানুষ৷ তাদের নিয়ে তৈরি একটি ভিডিওই চার মাসে দেখা হয়েছে ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৫৭ বার৷

এসিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য