সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের আশা জাগানিয়া স্কোর
১০ নভেম্বর ২০২৩সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল সাউথ আফ্রিকার, এই ম্যাচে তাই বিশ্রাম পেয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন ও তাবরাইজ শামসি।
আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান শুরুটা ভালোই করেছিলেন, ৮ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৪১ রান। নবম ওভারে স্পিনার কেশব মহারাজকে আক্রমণে নিয়ে এলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেন্ডা বাভুমা, প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু মহারাজের। স্লিপে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে ২২ বলে ২৫ রান করে ফিরে গেলেন গুরবাজ, আরো একটা ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েও বড় স্কোর করতে পারলেন না।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহীম জাদরানও শুরুটা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আজ আর বড় করতে পারলেন না জেরাল্ড কোটজিয়াকে হুক করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ায়৷ ১৫ রান করে ফিরে যান তিনি। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিও টিকলেন না বেশিক্ষণ, ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা পথ হারিয়ে ফেললো আফগানরা।
এরপর রহমত শাহকে নিয়ে কিছুটা হাল ধরেন ওমরজাই। দুজনের ৩৯ রানের জুটি ভাঙে এনগি্ডির বলে রহমত ক্যাচ দিলে, ফেলতে ফেলতেও সেটি শেষ পর্যন্ত ধরে ফেলেন ডেভিড মিলার। ইকরাম আলী খিলও এরপর কোটজিয়ার বলে আউট হলে ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা। খানিক পর সেটা হয়ে যায় ১১৬ রানে ৬ উইকেট, যখন মোহাম্মদ নবীও ফিরে যান এনগিডির বলে।
তবে ওমরজাই লড়াই চালিয়ে গেছেন টেল এন্ডারদের নিয়ে। প্রথমে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন রশিদ খান, ৪৪ রান এসেছে দুজনের সপ্তম উইকেট জুটিতে। এর মধ্যে ৭১ বলে ওমরজাই পেয়ে গেছেন ফিফটি৷ এই টুর্নামেন্টে এটি তার তৃতীয়। এরপর নূর আহমেদ এসে ২৬ রানের ইনিংস খেলে আরও এগিয়ে দিয়েছেন আফগানদের। নূরের ক্যাচ ধরেই এই ম্যাচে ষষ্ঠ ডিসমিসাল পেয়ে যান কুইন্টন ডি কক৷ এর ফলে ছুঁয়ে ফেলেন বিশ্বকাপে এক ম্যাচে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও সরফরাজ আহমেদের গড়া সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের রেকর্ড।
এরপর মুজিব উর রেহমান ও শেষ ব্যাটসম্যান নাভিন উল হককে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন ওমরজাই। ইব্রাহিমের পর দ্বিতীয় আফগান ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন। শেষ ওভারে চার রান করলেই পেয়ে যেতেন ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি, কিন্তু দুর্দান্ত এক শেষ ওভারে সেটা হতে দেননি রাবাদা। ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে ‘এত কাছে, তবুও এতদূরের' অতৃপ্তি নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে ওমরজাইকে।
চার উইকেট নিয়ে সাউথ আফ্রিকার সফলতম বোলার কোটজিয়া, দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মহারাজ ও এনগিডি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান ৫০ ওভারে ২৪৪ (ওমরজাই ৯৭*, নূর ২৬, রহমত ২৬; কোটজিয়া ৪/৪৪; মহারাজ ২/২৫, এনগিডি ২/৬৯)