সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক নেদারল্যান্ডসের
১৮ অক্টোবর ২০২৩ধর্মশালায় বৃষ্টি পড়ছিল। তাই বেলা দুইটার পরিবর্তে ম্যাচ শুরু হয় চারটার সময়। ৫০ ওভার নয়, ঠিক হয়, ৪৩ ওভারের খেলা হবে। প্রথমে ব্যাট করছিল নেদারল্যান্ডস। তাদের ৫০ রানে চার উইকেট পড়ে যায়।
তখন মনে হচ্ছিল, খুব সহজেই তাদের তৃতীয় জয় পাবে শক্তিশালী সাউথ আফ্রিকা। নেদারল্যান্ডস শুরুতে ধাক্কা খাওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কারণ, বিশ্ব ক্রিকেটে এখনো দুর্বল দল হিসাবেই তারা পরিচিত।
কিন্তু ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা এবং এখানে ভবিষ্যবানী করা যে মূর্খামি, তা আবার প্রমাণিত হলো। নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটাররা একটা নাছোড় লড়াই করলেন। এডোয়ার্ড ৭৮ রান করলেন। আরিয়ান ৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মেরউই করলেন ১৯ বলে ২৩ রান।
সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের সামনে ৪৩ ওভারে ২৪৬ রানের টার্গেট খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু ধর্মশালায় প্রথম দিকে একের পর এক ব্যাটার বাজে শট মেরে আউট হলেন। হয়ত তারা নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নেয়ার মাসুল দিলেন।
ডেভিড মিলার ও ক্লাসেন যখন খেলছিলেন, তখন তারা কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু মিলার ৪৩ ও ক্লাসেন ২৮ রানে আউট হয়ে যান। শেষের দিকে কেশব মহারাজ ৪০ রান করেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ তাদের হাতের বাইরে চলে গেছে।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে মেরউইন, বিক, ডি লিড, মিকেরেন দুইটি করে উইকেট নিলেন। নেদারল্যান্ডসের স্পিনার ও জোরে বলাররা জায়গায় বল রাখছিলেন। তাতেই কাজ হলো।
সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করছিলেন নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটাররা। দর্শকাসনে বসা কয়েকজন সমর্থক নাচছিলেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে তিনদিনের মধ্যে দুইবার অঘটন ঘটলো। প্রথমে ইংল্যান্ড হারলো আফগানিস্তানের কাছে, তারপর সাউথ আফ্রিকাকে হারালো নেদারল্যান্ডস।
জিএইচ/এসজি(স্টার স্পোর্টস)