দেশদ্রোহীতার অভিযোগ
৩১ জুলাই ২০১৫গত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনের কারণে দেশদ্রোহীতার অভিযোগের মুখে পড়েছেন ‘নেৎসপোলিটিক ডট অর্গ' নামের একটি ব্লগ সাইটের দুই সাংবাদিক ও ব্লগার৷ সাংবাদিক দু'জনের নাম আন্দ্রে মাইস্টার এবং মার্কুস বেকেডাল৷ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়ানোর কাজে ব্যয় করার জন্য বাজেট বাড়াতে চাইছে জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা৷ এরপর এপ্রিলে ‘ফলোআপ' প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়৷ সেখানে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোর ওপর নজরদারির জন্য গোয়েন্দা সংস্থা একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করছে৷
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক আন্দ্রে মাইস্টার এবং বিশ্বখ্যাত ব্লগার সম্মেলন ‘রি:পাবলিকা'-র প্রতিষ্ঠাতা মার্কুস বেকেডালকে জানানো হয় যে, ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের ওই দুটো প্রতিবেদনের কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগে তদন্ত শুরু হচ্ছে৷
প্রতিবেদনে পরিচয় গোপন রেখে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে৷
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগ তদন্তের এই বিষয়টি জার্মানিতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ বিষয়টিকে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ' হিসেবে দেখছে জার্মানির সাংবাদিক ইউনিয়ন৷ সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রধান মিশায়েল কনকেন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করে অবিলম্বে তদন্ত বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন৷
জার্মানিতে সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের কাজে হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার দৃষ্টান্ত খুব বিরল৷ সর্বশেষ আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬২ সালে৷ সেবার জার্মানির অন্যতম সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ডেয়ার স্পিগেল' একটি প্রতিবেদনে দাবি করে, জার্মান সেনাবাহিনী পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় অক্ষম৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল'-এর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল এবং দেশদ্রোহীতার দায়ে সাংবাদিকের কারাদণ্ডও হয়েছিল তখন৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, ইপিডি, এপি, রয়টার্স)