সাংবাদিকদের উপর বন্দিজীবনের ক্ষোভ
১১ মে ২০২০করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রার্থনালয়, দোকান ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়াসহ সামাজিক জীবনযাপনে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে জার্মান সরকার৷ জনসমাগম আটকাতে একের পর এক নানা অনুষ্ঠান-আয়োজন বাতিল করা হয়৷
যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় বিধি নিষেধও ধিরে ধিরে শিথিল হচ্ছে৷ কিন্তু এখনো অনুষ্ঠান আয়োজন, ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি আছে৷
সরকারি এসব ব্যবস্থার সমালোচনা করে অনেকে বলেন, এই বিধি নিষেধ মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকারের পরিপন্থি৷ কারো কারো মতে, এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে বরং টিকা বাধ্যতামূলক করা উচিত৷ যদিও করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো টিকা এখনো বাজারে নেই৷
শুধু জার্মানি নয় বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আরোপিত লকডাউন তুলে নিতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে৷
জার্মানিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটা হয়েছে গত রোববার দক্ষিণের নগরী স্টুটগার্টে৷ মিছিলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন ৷ পুলিশ বলেছে, মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল৷
কিন্তু এ ধরণের বিক্ষোভে সাধারণত হাতাহাতি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে৷ বিশেষ করে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের উপর বিক্ষোভকারীদের চড়াও হতে দেখা যাচ্ছে৷ রাজধানী বার্লিনে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের দুইটি ক্যামেরা দলকে হামলার শিকার হতে হয়েছে৷
যে ঘটনা জার্মানি জুড়ে ত্রাসের জন্ম দিয়েছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ-র মহাসচিব পাউল জিমিয়াক এটা নিয়ে টুইটারে লেখেন, গত ১ মে ‘টুডে শো’র ক্যামেরা ক্রুদের উপর হামলার ঘটনায় তিনি ‘স্তম্ভিত' হয়ে গেছেন৷ এটা জার্মানিতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হামলা৷
এসএনএল/কেএম
৬ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...