সহিংসতা রোধে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের অঙ্গীকার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ বছরের শুরু থেকে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন করে যেন সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন।
পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি ফিরাতে 'রাজনৈতিক-নিরাপত্তা' বিষয়ক এক আলোচনার জন্য প্রতিনিধিরা জর্ডানের আকাবা শহরে মিলিত হন। এরপরই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিস্তারিত ও খোলামেলা আলোচনার' পর উভয় পক্ষই স্থলভাগে উত্তেজনা প্রশমনের পাশাপাশি সহিংসতা রোধে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এছাড়াও, উভয় প্রশাসন "তিন থেকে ছয় মাসের জন্য তাদের একতরফা পদক্ষেপগুলো অবিলম্বে স্থগিত করতেও যৌথ প্রস্তুতি এবং প্রতিশ্রুতির কথা নিশ্চিত করেছে। চার মাসের জন্য নতুন বসতি স্থাপন এবং ছয় মাসের জন্য আউটপোস্টের অনুমোদন বন্ধ রাখার ইসরায়েলি অঙ্গীকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিরল এই বৈঠকের আয়োজক দেশ জর্ডান, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র৷ উভয়েই এই সমঝোতাকে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছে।
সভায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা আগামী মাসে মিশরের রিসোর্ট শারম এল-শেখে আবার মিলিত হতে সম্মত হয়েছেন, যেখানে প্রস্তাবিত লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি অর্জনের বিষয়ে আরও আলোচনা করা হবে।
উত্তেজনা বাড়ছে
দুই পক্ষের আলোচনার মাঝেই পশ্চিম তীরের একটি বসতিতে দুই ইসরায়েলি তাদের গাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন। ইসরায়েলি এটাকে "ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামলা" হিসাবে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি উত্তরাঞ্চলীয় শহর নাবলুসে বেশ কিছু দিন ধরে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটলো। গত সপ্তাহে নাবলুসে ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে ১৬ বছরের এক শিশুসহ ১১ জন নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই সময়ে ১০ জন ইসরায়েলি ও একজন ইউক্রেনীয় পর্যটক নিহত হয়েছেন।
একেএ/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি, এএফপি)