বিএনপির আন্দোলনের প্রস্তুতি
৩১ জুলাই ২০১৪তবে আন্দোলনের নামে কোনো অশান্তি সৃষ্টি করা হলে ‘হিম্মত' দেখানোর কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী৷
বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ‘‘দু'একদিনের মধ্যেই বিএনপি-র সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বসবেন৷ ঐ বৈঠকেই আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে৷'' এরমধ্যে জোটের নেতাদের সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান তিনি৷
মির্জা ফখরুল জানান, ‘‘সরকারকে পদতাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে৷ এর কোনো বিকল্প নেই৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের দেশ পরিচালনার কোনো অধিকার নেই৷''
তিনি বলেন, ‘‘আগের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার রাজধানী ঢাকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ ঢাকাই হবে আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র৷ সেকারণেই দলের ঢাকা মহানগর কমিটিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে৷'' বিএনপির এই নেতা আশা করেন, এবার রাজধানীর মানুষ মাঠে নেমে আসবেন, আন্দোলনে শরিক হবেন৷
তিনি বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি দেবে৷ সংলাপের মাধ্যমে যদি সমাধান হয় তাহলে আন্দোলন তীব্র করার প্রয়োজন পড়বে না৷ নয়তো আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে দাবি আদায় করা হবে৷
মির্জা ফখরুলের মতে, তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চাইলেও সরকার তা চায় বলে মনে হয় না৷ সে কারণেই সরকারের মন্ত্রীরা সংলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন৷ তাঁরা বলছেন ‘বিএনপি-র সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়৷' এই মনোভাব বহাল থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাবে৷ সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবে বলে মনে করেন তিনি৷
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনে করেন, বিএনপি-র আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে৷ তিনি বলেন, বিএনপি তার দাবি-দাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেবে এটাই সবাই আশা করে৷ বিএনপিও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছে৷ শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা তাদের অধিকার, বলে মনে করেন তিনি৷
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘‘বিএনপি-র আন্দোলনে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা নেই৷ তাই সাধারণ মানুষের ভয়েরও কোনো কারণ নেই৷'' সরকার বিএনপি-র শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি৷
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘‘দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চায়৷ আন্দোলনের নামে যদি এর কোনো ব্যাঘাত ঘটানো হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নামেবে৷ তখন দেখা যাবে কার কত হিম্মত৷''
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি যদি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই৷ তবে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রোল ঢেলে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যা যা দরকার, তাই করবে৷''