1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমুদ্রের তলার পরিকাঠামোতেও নজর রাখুক ন্যাটো

১ ডিসেম্বর ২০২২

বার্লিনে বৈঠকের পর এই দাবি তুলেছে জার্মানি এবং নরওয়ে। সমুদ্রের তলা দিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন এবং ফাইবার অপটিক।

https://p.dw.com/p/4KJu7
সমুদ্রের তলায় পাইপলাইন
ছবি: Danish Defence/UPI/Newscom/picture alliance

জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী স্টোরি বার্লিনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দাবি করেছেন, ন্যাটোর সামরিক বাহিনীকে সমুদ্রের তলার পরিকাঠামোও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কারণ, ইউরোপে সমুদ্রের তলা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন এবং ফাইবার অপটিকের লাইন গেছে। মাসকয়েক আগে সেই পাইপলাইনে বিস্ফোরণও হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

সাংবাদিকদের স্টোর জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলা দিয়ে একাধিক পাইপ এবং লাইন গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে আছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর সে দিকে এমনিই নজরদারি বাড়িয়েছিল নরওয়ে। নর্ড স্ট্রিমে বিস্ফোরণের পর তা আরো বাড়ানো হয়েছে। এবার ন্যাটোর শক্তি ব্যবহার করে তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

ডয়চে ভেলের প্রশ্নের উত্তরে স্টোরি বলেছেন, ''রাশিয়ার পর ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করতো নরওয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউরোপের অধিকাংশ দেশ রাশিয়া থেকে গ্যাস নেওয়া কমিয়েছে। তারা সকলেই নরওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।'' স্টোরির ধারণা, অচিরেই নরওয়ের সঙ্গে ইউরোপের অধিকাংশ দেশের গ্যাস বিনিময় কয়েক গুণ বাড়বে।

স্টোর জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহের জন্য নরওয়ের ৯০টি প্ল্যাটফর্ম আছে। এছাড়াও নয় হাজার কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ গ্যাস পাইপলাইন আছে। নরওয়ে ছাড়াও ইউরোপের একাধিক দেশ সেই পাইপলাইনে নজরদারি চালাতে শুরু করেছে। তাদের আশঙ্কা, রাশিয়া যে কোনো সময় ওই পাইপলাইনে আক্রমণ চালাতে পারে।জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলি নজরদারিতে সাহায্য করছে বলে স্টোরি জানিয়েছেন। তবে, ন্যাটোকে এবিষয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে তিনি দাবি করেছেন।

নেদারল্যান্ডসের গ্যাসক্ষেত্রে অন্য সমস্যা

ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে আরো আলোচনার কথা বলেছেন তিনি। সাংবাদিকদের স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, নর্ড স্ট্রিমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটার পরেই ন্যাটো এবিষয়ে সচেতন হয়েছে। রাশিয়া দাবি করেছিল, ওই বিস্ফোরণের পিছনে যুক্তরাজ্য দায়ী। কিন্তু ন্যাটোর কাছে অন্য গোয়েন্দা রিপোর্টও আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য ওই ঘটনায় দায়ী নয়। স্টলটেনবার্গের বক্তব্য, ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না হয়, তা নিয়ে ন্যাটোর প্রত্যেকটি দেশই চিন্তিত ও সচেতন।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আবার বলেছেন, রাশিয়া সামরিক যুদ্ধে জয় পাবে না, এবিষয়ে তিনি নিশ্চিত। রাশিয়া যে অঞ্চলগুলি দখল করেছিল, তার বেশ কয়েকটি তারা হারিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তার বক্তব্য, সামরিকভাবে জিততে পারবে না বলেই বেসামরিক পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)