1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অভিবাসনইটালি

সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত ৮ অভিবাসীকে এবার আলবেনিয়া পাঠালো ইটালি

৯ নভেম্বর ২০২৪

নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্বিতীয় একটি দলকে আলবেনিয়া পাঠিয়েছে ইটালি৷ দলটিতে বাংলাদেশ ও মিশরীয় আট অভিবাসী রয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/4mpVu
আলবেনিয়ার বন্দরে জাহাজে চড়ার মুহূর্তে অভিবাসীদের দুইজন
প্রথম দফায় আলবেনিয়ায় পাঠানো বাংলাদেশি, মিশরীয় অভিবাসীদের দলটিকে আদালতের নির্দেশে ফেরত আনে ইটালিছবি: Florion Goga/REUTERS

শুক্রবার অভিবাসীদের বহনকারী ইটালির জাহাজটি আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরে পৌঁছায়৷ এই আট অভিবাসী উত্তর আফ্রিকা থেকে নৌকায় করে ইটালি পৌঁছান৷ ইটালির নৌবাহিনীর জাহাজ কয়েকদিন আগে তাদের সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে৷ তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় এই আটজনের মধ্যে একজনকে শনিবার ইটালিতে ফেরত আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা আনসা৷

বাকিদের আশ্রয় আবেদন এখন প্রক্রিয়া করা হবে আলবেনিয়াতে৷ তারা ইটালিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন নাকি নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে তা নির্ধারিত হবে বলকান অঞ্চলের দেশটিতেই৷ 

কেন আলবেনিয়ায়?

ইউরোপ মহাদেশে অবস্থান হলেও আলবেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়৷ নতুন স্কিমের অংশ হিসেবে ইটালি অনিয়মিত অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছে৷ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আলবেনিয়ার দুইটি আশ্রয় কেন্দ্রে মাসে তিন হাজার অভিবাসীর আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়া করা হবে৷ সরকার জানিয়েছে, যাদের আশ্রয় আবেদন গৃহীত হবে তাদের ইটালিতে ফেরত আনা হবে৷ আর প্রত্যাখ্যাতদের আলবেনিয়া থেকেই নিজ দেশ ডিপোর্ট বা প্রত্যাবাসন করা হবে৷

এই স্কিমের অংশ হিসেবে অভিবাসীদের দ্বিতীয় এই দলটিকে আলবেনিয়ায় পাঠিয়েঠছে রোম৷ ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ইটালিই প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন তৃতীয় রাষ্ট্রে অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যার বিরোধিতা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷

আফ্রিকার উত্তর উপকূলগুলো থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে প্রতি বছরই অনেক অভিবাসী ইটালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন৷ গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এই সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমেছে৷ ইটালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সাত নভেম্বর পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭৬৭ জন সমুদ্রপথে দেশটিতে প্রবেশ করেছেন৷

ইটালির ডানপন্থি জর্জা মেলোনির সরকার অনিয়মিত অভিবাসন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ গত বছরের শেষ দিকে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকরণে  একটি চুক্তিতে সই করে ইটালি ও আলেবনিয়া সরকার৷

ইটালির এই স্কিমের দিকে নজর রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য সরকারগুলোও৷ ইটালি সফল হলে আরো সদস্য দেশ এই পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

আদালতের সঙ্গে বিরোধ

ইটালি সরকারের এই স্কিম বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদালত৷

অক্টোবরে প্রথমবারের মতো ১০ বাংলাদেশি এবং ছয় মিশরীয়কে উদ্ধারের পর আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়৷ কিন্তু দেশটির আদালত এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রায় দেয়৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ বা মিশর নিরাপদ দেশের তালিকাভুক্ত না হওয়ায় তাদের ফেরত আনার নির্দেশও দেন বিচারকেরা৷ যে কারণে তিনদিনের মাথায় ঐ অভিবাসীদের ইটালিতে ফেরত আনতে বাধ্য হয় সরকার৷ 

আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ২১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে নতুন ডিক্রি জারি করে মেলোনি সরকার৷ এ বছরের জুনে সরকার ঘোষিত ১৯টি নিরাপদ দেশের তালিকাকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যার মধ্যে মিশর ও বাংলাদেশকেও রাখা হয়েছে৷

কিন্তু এই ডিক্রি পরীক্ষা করে দেখতে ইউরোপীয় বিচার আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছে বলোনিয়ার আদালত৷

এদিকে প্রথম রুলের পরে ইটালির প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন আদালতের বিরুদ্ধে৷ অন্যদিকে উপপ্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বিচারকদের ‘কম্যুনিস্ট' বলে অভিহিত করেন৷

সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য হুমকির মুখে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা৷

এফএস/এআই (ডিপিএ, এএফপি, এপি)

অভিবাসন নিয়ে তথ্যচিত্র- ভূ'মৃত্যু'সাগরের ওপারে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান