1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুমারীত্ব পরীক্ষা

১ ডিসেম্বর ২০১৪

ইন্দোনেশিয়ায় যেসব তরুণী পুলিশে যোগ দেয়ার আবেদন করে, তাদের কুমারীত্ব পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এইচআরডাব্লিউ এর সমালোচনা করেছে৷ দেশটির পুলিশ অবশ্য এর পক্ষে সাফাই গেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Dwz4
Indonesische Polizistinnen Archiv 2013
ফাইল ফটোছবি: AFP/Getty Images/A. Berry

মানবাধিকার সংস্থাটি কয়েকজন ইন্দোনেশীয় তরুণীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে, যাদের অনেককেই কুমারীত্ব পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ তারা বলেছে, এই পরীক্ষার সময় নারী চিকিৎসকদের সামনে তাদের বিবস্ত্র হতে বাধ্য করা হয়৷ এরপর ‘দুই আঙুলের পরীক্ষা' চালিয়ে দেখা হয় তাদের সতীচ্ছদ অক্ষত আছে কিনা৷

এইচআরডাব্লিউ-কে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ১৯ বছরের এক তরুণী বলেন, ‘‘আমি এই খারাপ অভিজ্ঞতার কথা আর স্মরণ করতে চাই না৷ এটি ছিল অবমাননাকর৷ আমাদের কেন অপরিচিতদের সামনে বিবস্ত্র হতে হবে? এটি প্রয়োজনীয় নয়৷ এটি বন্ধ করা দরকার৷''

এইচআরডাব্লিউ-র নারী অধিকার বিষয়ক সহযোগী পরিচালক নিশা ভারিয়া কুমারীত্ব পরীক্ষাকে নারীদের জন্য‘বৈষম্যমূলক, ক্ষতিকর এবং অবমাননাকর' বলে মন্তব্য করেছেন৷ অবিলম্বে এই পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করতে ইন্দোনেশীয় পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি৷

তবে পুলিশের মুখপাত্র রনি সম্পি বলেন, সব আবেদনকারীকে ‘সমন্বিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা'-র মধ্য দিয়ে যেতে হয়৷ এর মাধ্যমে নির্বাচকরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন যে, আবেদনকারীরা যৌন রোগ থেকে মুক্ত৷ তিনি বলেন, কেউ এই পরীক্ষা পাস না করার মানে এই নয় যে, তাঁর আবেদন বাতিল হয়ে যায়৷

তবে পুলিশের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে এইচআরডাব্লিউ বলছে, সেখানে নাকি স্পষ্ট লেখা আছে যে, নারী আবেদনকারীদের অবশ্যই কুমারী হতে হবে

পুলিশের হাইকমিশনার শ্রী রুমিয়াতি এইচআরডাব্লিউ-কে বলেন, ২০১০ সালে তিনি এই পরীক্ষা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁর সহকর্মীরা সেই কথা শোনেননি৷ এরপর তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘আমরা কি এটা চাই যে যৌনকর্মীরা পুলিশে যোগ দিক?''

ইন্দোনেশিয়ায় মোট চার লক্ষ পুলিশ কর্মী রয়েছে৷ এর মধ্যে নারীর সংখ্যা মাত্র তিন শতাংশ৷ এবার এই সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)