1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমকামীদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ

১৯ ডিসেম্বর ২০১১

মহিলা ও পুরুষ সমকামী এবং উভকামী ও রূপান্তরকামী, এঁরা তাঁদের প্রকৃতিগত কারণেই সমাজের প্রান্তসীমার বাসিন্দা৷ মূল সমাজের সঙ্গে এক সরাসরি সংলাপ শুরু করতে চাইছেন ওঁরা৷

https://p.dw.com/p/13VXn
সমকামীছবি: AP

গত সপ্তাহের শুক্র থেকে রবি, এই তিন দিন কলকাতার গ্যোটে ইনস্টিটিউট বা মাক্স ম্যুলার ভবনের অংশীদারিত্বে এক অভিনব চলচ্চিত্র উৎসব হয়ে গেল, যার যৌথ উদ্যোক্তা ছিল শহরের দুই সমকামী অধিকার সংগঠন ‘স্যাফো ফর ইকুয়ালিটি' এবং ‘প্রত্যয় জেন্ডার ট্রাস্ট'৷ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বা ‘বার্লিনালে'-র যে চলচ্চিত্র কমিটি, তারাই মাক্স ম্যুলার ভবনের এই উৎসবের জন্য সমকামী বিষয়ক এক গুচ্ছ ছবি নির্বাচন করে দিয়েছিল, যা দেখার সুযোগ পেলেন কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসাহী মানুষজন৷

কিন্তু সমকাম এখনও যেখানে সমাজে এক অস্পৃশ্য বিষয়, সেখানে এমন সর্বজনীন এক উৎসবে মানুষকে সামিল করার চেষ্টাটা যথেষ্ট সাহসের ব্যাপার৷ এ প্রসঙ্গে প্রত্যয় জেন্ডার ট্রাস্টের তরফে অনিন্দ্য হাজরা বললেন, তাঁরা মনে করেন যে সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে তাঁদের অর্থাৎ সমকামীদের একটা সম্পর্ক তৈরি হওয়া দরকার৷ সমকামিতা নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনার জায়গা তৈরি করার জন্যই ওদের এই উৎসবের নাম সংলাপ৷ নয়তো, সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা, সেটা একপেশে হয়ে যাবে৷

Valentinstag Flash-Galerie
ছবি: AP

গ্যোটে ইনস্টিটিউট কেন যুক্ত হল এই উদ্যোগে? মাক্স ম্যুলার ভবনের পক্ষ থেকে সূর্যোদয় চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এখনও সমকাম বিষয়ক ছবি দেখানোর অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে৷ সেখানে মাক্স ম্যুলার ভবনের একটা স্বাধীনতা আছে এরকম অন্য ধারার ছবির প্রদর্শনী করার৷ কাজেই ওরা যখন এসে প্রস্তাবটা দিলেন, তখন মাক্স ম্যুলার ভবন কর্তৃপক্ষের মনে হল, কেন নয়?

তা হলে প্রয়োজন ছিল এমন একটা উৎসবের? প্রত্যয়ের অনিন্দ্য সে ব্যাপারে দ্বিধাহীন৷ বললেন, শুধু নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, সমকামীদের সাংস্কৃতিক পরিধিটা নির্দিষ্ট করতেও এই সংলাপের প্রয়োজন৷ নাহলে ওদের আন্দোলনটা স্রেফ সঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীনতা পাওয়ার লড়াই বলেই মনে হবে৷

সমকামীদের এই সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিশ্চিতভাবে এখানেই থেমে থাকবে না৷ সংযোগ, সংলাপের চেষ্টা চলতেই থাকবে৷ বৃহত্তর সমাজ তাতে কতটা সাড়া দেয়, সেটাই এখন দেখার৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারিত গুহ