সমকামী ইস্যুতে বিভক্ত সিডিইউ
৫ মার্চ ২০১৩ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল সিডিইউ'র বন অঞ্চলের প্রধান ফ্রাঙ্ক হেনসেলার৷ করের দিক বিবেচনা করলে তিনি সমকামী দম্পতিকে বিবাহিত দম্পতি হিসেবে বিবেচনার পক্ষে৷ যদিও দল হিসেবে সিডিইউ সমাজের ঐতিহ্য ধরে রাখার পক্ষে এবং পারিবারিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী, তা সত্ত্বেও করের ক্ষেত্রে সমতা আনার প্রশ্নে সমকামীদের পক্ষে হেনসেলার৷ ৩১ বছর বয়সি এই নেতা নিজের দল নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত৷
হেনসেলার ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমি সন্তুষ্ট যে, অবশেষে দলের উচ্চ পর্যায়ে এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ আমার মতে, সিডিইউ এতকাল ধরে জীবনের যে ধারাকে উৎসাহিত করেছে তার বাইরেও জীবন আছে, আর সেটা এখন গ্রহণের দিকে আগাচ্ছে দল৷''
তবে সবাই বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন না৷ বন সিডিইউ'র বর্ষীয়ান নেতা কনরাড লাউবে এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমার মত হচ্ছে, আমাদের এখনও সংবিধানের ষষ্ঠ ধারা সমর্থন করা উচিত, যেখানে পরিবার এবং বিবাহ বিশেষভাবে সংরক্ষিত আছে৷ বিয়ে সমলিঙ্গের পুরুষ এবং মেয়েদের পার্টনারশিপ থেকে ভিন্ন ব্যাপার৷''
সেক্রেটারি পেটার ক্লয়শ-এর অবস্থান এক্ষেত্রে আরো পরিষ্কার৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এটার বিরোধী৷ আমার মতে, এটা কোন খ্রিষ্টান বিয়ে নয়৷ এটা অস্বাভাবিক৷''
সমকামীদের সমানাধিকার ইস্যুতে সিডিইউ'র দলীয় কাঠামোতে বিভক্তি সুস্পষ্ট৷ তবে সে দল এখন আর এই ইস্যুকে এড়িয়ে বেশিদূর আগাতে পারবে না৷ কেননা, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি জার্মানির সাংবিধানিক আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমকামী পুরুষ এবং নারীরা বিষমগামী দম্পতি'র মতো তাদের সঙ্গীর সন্তান দত্তক নিতে পারবে৷
বলাবাহুল্য, সমকামীদের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি প্রদানের পথে এটি এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি৷ কিন্তু সিডিইউ'র জন্য এমনটা মানা কঠিন৷ কেননা, এই দল জনতার পার্টি হিসেবে পরিচিত, যে দল রক্ষণশীল এবং ঐতিহ্যবাহী প্রথা সংরক্ষণে বিশ্বাসী৷ মোটের উপর খ্রিষ্টান ভাবাদর্শের উপর ভিত্তি করে দলটি প্রতিষ্ঠিত৷
সবকিছু বিবেচনা করে সমকামী ইস্যুতে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে চাইছে সিডিইউ৷ আগামী সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে দলের রক্ষণশীল ভোটারদের চটাতে চায় না সে দল৷ পাশাপাশি নির্বাচনে জয় সুনিশ্চিত করতে উদারপন্থীদেরকেও দলে ভেড়ানো জরুরি৷