1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমকামী যুগলের পাশে কলকাতা হাইকোর্ট

২৪ আগস্ট ২০২১

পরিবার অত্যাচার চালিয়েছে। পুলিশ সাহায্য করেনি। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একসঙ্গে থাকার অধিকার পেল সমকামী যুগল।

https://p.dw.com/p/3zPBJ
সমকামী
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বাড়ি দুই সমকামী তরুণীর। দীর্ঘদিন তারা বন্ধু। সেই থেকেই প্রেম। একসময় তারা ঠিক করেন, একসঙ্গে থাকবেন। আর তাতেই বাদ সাধে পরিবার। সমকামী যুগলকে মেনে নিতে চায়নি দুইজনেরই পরিবার। তাদের আলাদা করতে রীতিমতো অত্যাচার চালানো হয়। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি দুই তরুণীকে। বাধ্য হয়েই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু পুলিশও তাদের সাহায্য করতে রাজি হয়নি। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তরুণী যুগল। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, একসঙ্গে থাকতে চাওয়া তাদের অধিকার। কেউ তাতে বাদ সাধতে পারে না।

ওই দুই তরুণী জানিয়েছেন, পুলিশ যখন তাদের কথা শুনতে রাজি হয়নি, তখন কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন তারা। তখনই কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অঙ্কন বিশ্বাস এগিয়ে আসেন। তিনিই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সোমবার মামলাটি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ওঠে। বিচারপতি জানান, ''আইন ওই সমকামী যুগলের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী নয়। আইন কখনোই তাদের জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।'' ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ওই দুই তরুণীর জীবনে কোনোরকম বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না তাদের পরিবারও।

আদালতের রায় শুনে আইনজীবী অঙ্কনের প্রতিক্রিয়া, ''ওরা যে একজন আরেকজনকে ভালোবেসে অন্যায় করেননি আদালতের নির্দেশে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। সমাজও এর থেকে শিক্ষা পাবে।''

এলজিবিটিকিউ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন হচ্ছে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গেও এলজিবিটিকিউ কমিউনিটি যথেষ্ট শক্তিশালী। নানাধরনের অনুষ্ঠান করে তারা। আন্দোলনে অংশ নেয়। সোমবার আদালতের রায়কে তারাও স্বাগত জানিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (আনন্দবাজার)