সবচেয়ে বড় গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যম ইন্টারনেট- আসাঞ্জ
১৭ মার্চ ২০১১ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সামনে এক বক্তৃতায় আসাঞ্জের কথা সবাইকে চমকে দেওয়ার মতই৷ যেই ইন্টারনেটের কারণে আজ গোটা বিশ্বের তথ্যভান্ডার মানুষের সামনে উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে, যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কারণে আজ গোটা বিশ্ববাসী বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছে, সেগুলোকেই মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের অধিকারের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করলেন ৩৯ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয়৷
মিশরের গণঅভ্যুত্থানের উদাহরণ দিয়ে আসাঞ্জ জানান, তিন থেকে চার বছর আগে এই ধরণের ছোটখাট এক বিপ্লব হয়েছিল ফেসবুকে৷ পরবর্তীতে যারা এই ফেসবুক বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ অনেককে মারধর করা হয় এবং কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়৷ ‘‘সুতরাং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা যেমন সরকারের অনেক কর্মকাণ্ডের খবরই পেয়ে যাচ্ছি, ঠিক তেমনটি পৃথিবীর ইতিহাসে এটি সবেচেয়ে বড় গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''
কম্পিউটার প্রযুক্তির ইতিহাসে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হবেন জুলিয়ান আসাঞ্জ৷ কিন্তু এই সাবেক হ্যাকারই বর্তমান তথ্য প্রযুক্তিকে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করেন৷ আসাঞ্জ বলেন, ‘‘এই প্রযুক্তি মানুষের বাক স্বাধীনতাকে সাহায্য করছে না৷ এটি মানবাধিকারকেও কোনভাবে সহায়তা করছে না৷ বরং আধিপত্যবাদের সবচেয়ে বড় গুপ্তচর হিসেবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আমরা কোনদিন দেখিনি৷''
আরব বিশ্বে বর্তমানে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দেখা যাচ্ছে তার পেছনে উইকিলিক্স এর অবদান রয়েছে বলে দাবি করলেন জুলিয়ান আসাঞ্জ৷ যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করে দেওয়ায় এই অঞ্চলের দৃশ্যপট বদলে গেছে বলেও মনে করছেন তিনি৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন