1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে নরওয়েতে গ্রেপ্তার ৩

৮ জুলাই ২০১০

সন্দেহভাজন তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে নরওয়ে পুলিশ৷ বলা হচ্ছে, গ্রেপ্তারকৃতরা জঙ্গি সংগঠন আল- কায়েদার সদস্য৷ এদিকে নিউ ইয়র্কের পাতাল রেলে হামলার চেষ্টা চালানোর অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/OE6q
ছবি: AP Graphics

দুটি ঘটনায় যোগসূত্র রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, নরওয়ে পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার তিনজনের আল-কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ ছিলো৷ হামলার লক্ষ্য কী ছিলো, তা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি পুলিশ৷ তবে পুলিশের মুখপাত্র জেন ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিন ব্যক্তিকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাদের চোখে চোখে রাখা হচ্ছিলো৷ তবে টের পেয়ে হামলা পরিকল্পনার প্রমাণপত্র নষ্ট করে ফেলবে, এই আশঙ্কা থেকে তাদের তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যগামী বিমানে হামলা চালাতে চেয়েছিলো তারা৷ আবার বিবিসি'র নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, হয়তো নরওয়েই তাদের হামলার লক্ষ্যস্থল ছিলো৷ কারণ আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীতে নরওয়ের সৈন্যও রয়েছে৷ আর ওই দেশটিতে বিদেশি সৈন্য মোতায়েনের চরম বিরোধিতা করে আসছে আল-কায়েদা গোষ্ঠি৷

নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা পিএসটি'র এক মুখপাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার যাদের গ্রেপ্তার করা তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে৷ এদের একজন ইরাকি, একজন উজবেক এবং অন্যজন চীনের উইগুরের আদিবাসী৷ তারা সবাই অবশ্য নরওয়েতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলো৷

Feuerball aus dem World Trade Center
৯/১১’এর সেই পরিচিত ছবি...ছবি: AP

তবে নরওয়ে পুলিশের ধারণা, হামলা তাদের দেশে হতো না৷ অন্য কোনো দেশে হতো৷ হয়তো যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যে৷ নিউ ইয়র্ক এবং ম্যানচেস্টারে হামলার পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে ওই তিনজনের যোগসাজশ ছিলো বলেও দাবি পুলিশের৷ নিউ ইয়র্কে গত সেপ্টেম্বরে হামলার পরিকল্পনা হয়েছিলো৷ মার্কিন পুলিশ বলছে, পাকিস্তানি আল-কায়েদা নেতার নির্দেশে পাঁচজন নাইন-ইলেভনের মতো একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিলো৷ এদিকে, সন্দেহভাজন ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক প্রাণহানির চেষ্টা চালানোসহ ১০টি অভিযোগে বুধবারই তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ এদের একজন পাকিস্তানের নাগরিক, যাকে যুক্তরাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

একইদিনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইব্রাহিম আহমেদ মাহমুদ আল-কোশী নামে এক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী৷ বলা হচ্ছে, ইব্রাহিম আল-কায়েদা শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেনের রান্নাবান্নার কাজ করতেন৷ সুদানি এই ব্যক্তিকে ২০০২ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে গুয়ানতানামো কারাগারে আটক রাখা হয়েছে৷ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইব্রাহিমই গুয়ানতানামোর প্রথম বন্দি যাকে সামরিক আদালতে অভিযুক্ত করা হলো৷ ব্যাপক সমালোচিত গুয়ানতানামো কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে ওবামার৷ তবে সেখানকার বন্দিদের যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের কারাগারে নিতে কংগ্রেসে আপত্তির মুখে তাঁর পরিকল্পনা এখনো সফল হয়নি৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ