সংসদীয় নির্বাচনে কবে কতজন বিদেশি পর্যবেক্ষক
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ৩০শে ডিসেম্বর৷ ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনগুলোতে কতজন পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন বা থাকছেন জেনে নিন ছবিঘরে৷
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, সবচেয়ে কম সংখ্যক
২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা৷
১৯৯১ সাল
বাংলাদেশের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি৷ নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ঐ নির্বাচনে ৫৯ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন৷
১৯৯৬ সাল, ফেব্রুয়ারি
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি৷ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল৷ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনে জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩০০টি আসনই তারা পায়৷ নির্বাচন কমিশন সূত্রে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যটকদের উপস্থিতি সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই৷
১৯৯৬ সাল, জুন
একই বছর নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় জুনে৷ অর্থাৎ সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১২ জুন৷ এতে বিদেশি পর্যটক ছিলেন ২৬৫ জন৷
২০০১ সাল
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর৷ ২০০১ সালে ২২৫ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন৷
২০০৮ সাল
বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে৷ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন সামরিক সরকারের অধীনে৷ ২০০৮ সালে ৫৯৩ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন৷
২০১৪ সাল
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারি৷ এতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই নির্বাচন বর্জন করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে৷ নির্বাচনের আগে সহিংসতার কারণ দেখিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি৷ ফলে ওই নির্বাচনে মাত্র চারজন বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন৷
২০১৮ সাল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ৩০শে ডিসেম্বর৷ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩২ পর্যবেক্ষক আসবেন৷ তিনজন পর্যটক পাঠাচ্ছে ভারত৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক জানিয়েছেন, যথেষ্ট সময় ও প্রস্তুতি না থাকায় তাদের প্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন না৷