সংবিধান সংশোধন
২৫ জুন ২০১২সোমবার সকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয়৷ বাজেট আলেচনায় অংশ নিয়ে মহাজোট সরকারের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের কল্যাণের দিকে তেমন নজর দেয়া হয়নি৷ তিনি বিদ্যুৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন৷ আর বলেন, কৃষকের জন্য নেই কোনো সুসংবাদ৷ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে, তারও সমালোচনা করেন তিনি৷
রাশেদ খান মেনন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন৷ তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড' নিশ্চিত করতে হবে৷ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের শেষ তিন মাসে৷ আবার অন্তর্বর্তী সরকারের কথা বলা হয়েছে৷ তাহলে সরকারের কি হবে? আর অন্তর্বর্তী সরকারেরই বা কি কাজ হবে? কি হবে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা? এসবের কিছুই স্পষ্ট নয়৷ এর মাধ্যমে ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড' নিশ্চিত হবেনা৷ তাই সংবিধান সংশোধন করতে হবে৷
মহাজোট সরকারের আরেক শরীক জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত প্রয়োজন৷ আর ‘মাইনাস টু থিওরি' নিয়ে এখনো যারা চিন্তা করেন তাদের সমালোচনা করেন তিনি৷ তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে৷ আর খালেদা জিয়াকে টিকে থাকতে হলে যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করতে হবে৷
মহাজোট সরকারের শরীক এই দুই নেতা সরকারকে আগামী নির্বাচনের জন্য আরো জনঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ