1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

সংঘাতের পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি ইসরায়েল, হামাস

৩ মে ২০২৩

ইসরায়েলের জেলে ৮৭ দিন অনশন করে মারা যান খাদের আদনান। তারপরই হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়ে। ইসরায়েলের দাবি, ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/4QouP
ইসরায়েলের জেলে অনশনে ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুর পর সংঘাত শুরু হয়। ফাইল ছবি।
ইসরায়েলের জেলে অনশনে ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুর পর সংঘাত শুরু হয়। ফাইল ছবি। ছবি: Rizek Abdeljawad/Xinhua/picture alliance

ইসরায়েলের দাবি, ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। হামাস ও ইসলামিক জেহাদ জানায়, এটা ছিল প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া।

কিন্তু এরপর ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিমান বোমা ফেলে। কামান থেকে গোলা ছোড়া হয়।

এই পরিস্থিতিতে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সক্রিয় হন। তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, রাত সাড়ে তিনটে থেকে দুই পক্ষ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে।  তার আগে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তারা মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন।

কে এই আদনান?

আদনান ওয়েস্ট ব্যাংকের জেনিন শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ছিলেন রুটিওয়ালা ও নয় সন্তানের বাবা। গত আট বছরে তাকে ১২ বার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রায় প্রতিবারই প্রশাসনিক নির্দেশে তাকে আটক করা হয়। ছয় মাসের ব্যবধানে এভাবে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার করতে পারে ইসরায়েলি পুলিশ-প্রশাসন।

আদনান এর আগেও তিনবার অনশন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এবার তিনি লাগাতার অনশন করছিলেন। ৮৭ দিন অনশন করার পর তিনি মারা যান। তারপরই এই সংঘাত তীব্র হয়।

ইইউ-র অনুরোধ

ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল ইসরায়েলকে অনুরোধ করেন, তারা যেন একতরফা কোনো ব্যবস্থা না নেয়। তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাসেলসে দেখা করে আলোচনাও করেছেন।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)